বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেনমার্কের আবেগ আর ইংল্যান্ডের আভিজাত্যের লড়াই

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ১৩:২২

রাত ১টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ক। দুই দলের সামনেই ইতিহাস সৃষ্টির লক্ষ্য। ডেনমার্কের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একবারই জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০০২ বিশ্বকাপের শেষ ষোলর ম্যাচে ডেনদের ৩-০ গোলে হারায় ইংলিশরা।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বুধবার। রাত ১টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ক। দুই দলের সামনেই ইতিহাস সৃষ্টির লক্ষ্য।১৯৬৬ সালের নিজ মাঠে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পর কখনই আর কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৯৯০ ও ২০১৮ বিশ্বকাপ, আর ১৯৬৯ ও ১৯৯৬ ইউরোর সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করা ইংলিশদের সেরা সাফল্য।এবারও তারা সেমিফাইনালে। আর বরাবরের মতো কোনো টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব পেরোলেই যেমনটা শুরু হয়, এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটায়নি ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম। ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে ‘ফুটবল ইজ কামিং হোম’ স্লোগানে মুখরিত স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ট্যাবলয়েডগুলো।তবে মিডিয়ার মাতামাতি মজেননি ইংল্যান্ডের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথ গেইট। ইংল্যান্ডে ফুটবল জনপ্রিয়তার তুলনার দলের সাফল্য কম স্বীকার করে নেন তিনি।ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যেমনটা মনে করি ততটা প্রসিদ্ধ ফুটবল ইতিহাস আমাদের নেই। তবে ছেলেরা চেষ্টা করছে সব সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার। আমরা কখনই ইউরোর ফাইনালে খেলিনি। আমাদের সামনে ফাইনাল খেলার সুযোগ আছে সেটা নিয়ে আমরা এক্সাইটেড।’

সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড দলের অনুশীলন। ছবি: এএফপি

তরুণ উইঙ্গার বুকায়ো সাকার চোট সেরে না ওঠায়, ইউক্রেনের বিপক্ষে খেলা ইংল্যান্ড একাদশই ডেনমার্কের বিপক্ষে নামার সম্ভাবনা বেশি। লুক শ ডিফেন্সে শুরু করলেও মাঝমাঠে উঠে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে ডেনদের চেপে ধরার উদ্দেশ্য সাউথ গেইটের।২০১৮ বিশ্বকাপ খেলা স্কোয়াডের অনেকেই আছেন তিন বছর পরের ইংল্যান্ড দলে। খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখছেন ম্যানেজার।বলেন, ‘আমরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। খেলোয়াড়রা মুখিয়ে আছেন। অনেকেরই এই পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯৯২ সালে। সেটাই তাদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সাফল্য। এবারও সেটিকে ছুঁয়ে ফেলার প্রত্যাশায় তারা।নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারকা মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছে ডেনমার্ক। এরিকসেন যেন না থেকেও দলের সঙ্গে আছেন প্রতি মুহূর্তে।প্রতি ম্যাচই স্মাইকেল-কায়েররা খেলছেন তাদের প্রিয় সতীর্থের জন্য। নিজেদের খেলা শেষ তিন ম্যাচে ১১ গোল করেছে ডেনমার্ক। দুর্দান্ত গতি দিয়ে পরাস্ত করেছে প্রতিপক্ষকে।

সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে হালকা মেজাজে ডেনমার্ক দল। ছবি: এএফপি

ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও নিজেদের স্বাভাবিক খেলা বজায় রাখতে চায় ডেনমার্ক। এরিকসেনের জন্য আবেগের পাশাপাশি সামর্থ্যের সেরাটা দিয়েই খেলবে তারা এমনটা জানালেন দলের হেড কোচ ক্যাসপার হিয়ুলমান্ড।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা একজন সেরা খেলোয়াড়, বেস্ট ফ্রেন্ড ও দলের প্রাণকে হারিয়েছি। এই আবেগের সঙ্গে যুদ্ধ করেই আমরা মাঠে নেমেছি ও অসাধারণ ফুটবল খেলেছি।‘আমরা দেখিয়েছি কী করতে পারি। আমি দল নিয়ে খুবই গর্বিত।’

ডেনমার্কের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একবারই জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০০২ বিশ্বকাপের শেষ ষোলর ম্যাচে ডেনদের ৩-০ গোলে হারায় ইংলিশরা।

সেমিফাইনাল জয়ী দল রোববার রাত ১টায় ফাইনালে ইতালির মোকাবিলা করবে।

এ বিভাগের আরো খবর