বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় জাতীয় দলের চার তারকা

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ২১:০৭

পুনর্বাসনে থাকা এই চার জাতীয় ফুটবলার হলেন গোলকিপার আশরাফুল রানা, ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও উইঙ্গার সাদ উদ্দীন। কবে ফিরবেন মাঠে, তাদের ইনজুরির সবশেষ অগ্রগতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

ইনজুরিতে খেলার বাইরে জাতীয় দলের চার পরীক্ষিত ফুটবলার। কেউ পুরনো ইনজুরিতে। কেউ নতুন ইনজুরির পুনর্বাসন করছেন। মাঠে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন তারা। কবে ফিরবেন মাঠে, তাদের ইনজুরির সবশেষ অগ্রগতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

পুনর্বাসনে থাকা এই চার জাতীয় ফুটবলার হলেন গোলকিপার আশরাফুল রানা, ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও উইঙ্গার সাদ উদ্দীন।

এদের সবাই ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি গেল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব।

নবীন নেওয়াজ জীবনকে দিয়ে শুরু করা যাক। ভারতে লিগামেন্টের সফল অস্ত্রোপচার শেষে গত ২৬ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন ঢাকা আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে পুনর্বাসন নিয়ে জীবন জানান, ‘আরও দুই মাস পর ট্রেনিং করতে পারব। লিগ খেলতে পারছি না। স্বাধীনতা কাপ খেলার সুযোগ থাকতে পারে। চিকিৎসকরা যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আর যারা একই ধরনের অপারেশন করেছে, তাদের কাছে ফোন করে পরামর্শ নিচ্ছি।’

লকডাউনের কারণে ভারতে যাওয়ার ব্যাপারটি ঝুলে আছে বলে জানান জীবন, ‘দুই মাসের মধ্যে ভারতে শেষ রিপোর্ট দেখানোর কথা ছিল। করোনার কারণে আবার পিছিয়ে যাচ্ছে।’

গেল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে হাতের ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছিলেন সোহেল রানা। আপাতত জিমে সময় দিচ্ছেন ঢাকা আবাহনীর এই মিডফিল্ডার।

সোহেল জানান, ‘আমি আপাতত এখন জিম করছি। শরীরের নিচের অংশে। বিশেষ করে পায়ে। সাইক্লিং করছি। হাত ঠিক হতে আর সপ্তাহদুয়েক লাগবে। আশা করি, লিগের কিছু সময় যাওয়ার পর মাঠে ফিরতে পারব।’

পুনর্বাসন শেষে ম্যাচে ফেরার অবস্থায় আছেন জাতীয় দলের গোলকিপার আশরাফুল রানাও। শেখ রাসেলের হয়ে খেলার কথা ছিল ১ জুলাইয়ের ম্যাচেই।

আশরাফুল বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ ফিট। প্রথম ম্যাচ যেটা ছিল ১ জুলাই ওই ম্যাচে খেলার জন্য রেডি ছিলাম। প্রথম দুই সপ্তাহজুড়ে পুরো বিশ্রামে ছিলাম। আস্তে আস্তে ফিজিওর সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। ওনার কাছে দুই বেলা ট্রিটমেন্ট নিতাম। ফিজিও ও চিকিৎসক দেবাশিস দার পরামর্শ অনুযায়ী সেরে ওঠার কাজ করেছি।

‘সবশেষ ১০-১২ দিন মাঠে কাজ করেছি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছি সাত-আট দিন। ধীরে ধীরে পুরো ফিট হয়েছি। এখন ম্যাচে খেলার জন্য প্রস্তুত আমি।’মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলের উইঙ্গার সাদ উদ্দীনও। মাঠের অনুশীলনে ফিরলেও দলের সঙ্গে যোগ দিতে এখনও সময় নিচ্ছেন ঢাকা আবাহনীর এই ফুটবলার।

সাদ বলেন, ‘ইনজুরির পর রেস্টে ছিলাম। দেবাশিষ দা বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। গত দুই-তিন সপ্তাহ যাবৎ অনুশীলন করছি। পরের সপ্তাহে আশা করি মাঠে নামব। মাঠে নামার পর আমার অনেক অনুশীলন আছে। পুরো ফিট হওয়ার ব্যাপার আছে। দেখব কী অবস্থায় আছি। তারপর চিন্তা করব ম্যাচ খেলা যায় কি না।

‘সবমিলে দুই মাসের বেশি সময় হয়ে গেছে। যদি জাতীয় দলের ক্যাম্পে না যেতাম তাহলে আরও কম সময় লাগত। চেষ্টা করেছি খেলার জন্য। ইনজুরির কারণে থাকতে পারি নাই।’

আপাতত করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত রয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জাতীয় দলের ফিফা উইন্ডো রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদি এই চার ফুটবলার।

এ বিভাগের আরো খবর