কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্ব একরকম হেসে খেলেই শুরু করে ব্রাজিল। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সবার আগে নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল।
তিন ম্যাচে নয়বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর বিপরীতে মাত্র এক গোল হজম করে তারা। শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নাভিশ্বাস উঠে যায় তাদের।
নেইমারকে ছাড়া ওই ম্যাচে জিততে পারেনি নয়বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। ১-১ গোলে ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিক দলকে।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দলে অবশ্যই ফিরছেন নেইমার। শিরোপা ধরে রাখতে হলে নিজের সেরা অস্ত্রের ওপর ভরসা করা ছাড়া গতি নেই ব্রাজিল কোচ লিওনার্দো তিতের।
এই আসরে পরিপক্ক খেলা উপহার দিয়েছেন নেইমার। তিন ম্যাচে নিজে দুই গোল করার পাশাপাশি আরও দুই গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। দলের সেরা ফরোয়ার্ডের পাশাপাশি একজন স্বভাবজাত নাম্বার টেন-এর ভূমিকাও পালন করছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) এই সুপারস্টার।
কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্রাজিল স্কোয়াড। ছবি:টুইটার
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ও ব্রাজিল দলের অন্য সদস্যরা চিন্তিত মাঠের মান নিয়ে। ব্রাজিলে তড়িঘড়ি করে আয়োজন করায় স্টেডিয়ামের মাঠগুলো টুর্নামেন্ট উপযোগী করে তুলতে পারেনি আয়োজক দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (কনমেবোল)।
ফলে নেইমার, মেসি, সুয়ারেসদের মতো বিশ্বসেরা তারকারা মাঠের টার্ফ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে নিজের অফিশিয়াল ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লন্ডনে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সঙ্গে একটি কাদার মাঠের ছবি দিয়ে নেইমার জিজ্ঞেস করেছেন ‘ব্রাজিলের পরের খেলা কোথায় হচ্ছে?’
পেরুর বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের পর রিওর নিলতন সান্তোস স্টেডিয়াম নিয়ে নেইমার ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “এনজেনিয়োর ‘ঘাসের লনে’ গতকালকের গোলটা উদযাপন করছি”।
মাঠের কন্ডিশন যেমনটাই হোক নিজেদের মাঠে কোপা আমেরিকা শিরোপা ধরে রাখার চাপ বাড়ছে নেইমারদের ওপর। টুর্নামেন্টে মেসির আর্জেন্টিনা থাকার পরও তারাই পরিস্কার ফেভারিট।
সেই তকমা ধরে রাখতে চিলির বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই তিতের শিষ্যদের। চিলির রক্ষণাত্মক ফুটবলের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক একদশ সাজাবেন ব্রাজিল বস।
নেইমারের সঙ্গে একাদশে ফিরছেন লিভারপুলের এক নম্বর গোলকিপার আলিসন। আক্রমণে নেইমার-জেসুসদের সঙ্গে থাকবেন রিচার্লিসন ও এভারটন। রক্ষণ সামলাবেন মিলিতাও, মার্কিনিয়োস, ফাবিনিয়ো ও সান্ড্রো।
বেঞ্চে থাকছেন অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভা, ফিরমিনো ও গাবিগোল।
চোটের কারণে টুর্নামেন্টে আলেক্সিস সানচেসের জায়গায় চিলি আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন এদুয়ার্দো ভারগাস। তার সঙ্গে মাঝমাঠে থাকছেন অভিজ্ঞ তারকা আরতুরো ভিদাল ও ডিফেন্সে অধিনায়ক গারি মেদেল।
দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা আশায় থাকবে ব্রাজিলের ভুলের সুযোগ নেওয়ার ও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় চমকের।
রিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়।
ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ: আলিসন, এমারসন, মিলিতাও, মার্কিনিয়োস, সান্ড্রো, রিচার্লিসন, ফাবিনিয়ো, কাসেমিরো, এভারটন, নেইমার ও জেসুস।
চিলির সম্ভাব্য একাদশ: ব্রাভো, মেদেল, ইসলা, সিয়েরালতা, মিনা, ভিদাল, আরাঙ্গিস, আলারকন, পিনারেস, ভারগাস, ব্রেরেতন।