ম্যাচের তখন ৫২ মিনিট। চট্টগ্রাম আবাহনীর ডি-বক্সের সামনে ঢাকা আবাহনীর আক্রমণভাগ। বেলফোর্টের পা থেকে আসা বলটা পেয়েই ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে বুলেট শট নিলেন মামুনুল ইসলাম মামুন। মাটি কাঁপানো শটে বল মুহূর্তেই জালে।
লিগে আবাহনীর হয়ে প্রথম গোল পেলেন মামুন। উদযাপনটা সাদামাঠা। মুখে আঙুল দিয়ে যেন সমালোচনার জবাব দিলেন এই মিডফিল্ডার। যেন জানালেন, মামুন ফুরিয়ে যায়নি। বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র।
বৃহস্পতিবার মামুনের গোলের দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কর্দমাক্ত মাঠেই ২-০ ব্যবধানে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী।
দীর্ঘ বিরতির পর এটাই মারুফুল হকের দল চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রথম ম্যাচ ছিল। আর মারিও লেমসের দলের দ্বিতীয় ম্যাচ। এর আগের ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করেছিল ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
বৃষ্টিতে নাজেহাল মাঠের মধ্যেই বলা যায় একেবারে ছন্নছাড়া ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই আবাহনী।
এর মধ্যে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে সানডে চিজোবার গোলে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। রাফায়েল আগুস্তোর চিপ পাসটা বুকে নিয়ন্ত্রণ করে ডি-বক্সের বাম প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে কোণাকুণি শটে বল জালে জড়ান এই নাইজেরিয়ান ফুটবলার।
তার গোলে প্রথমার্ধেই লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
সানডের গোলে লিড নেয় আবাহনী। পাঁচ ম্যাচে আবাহনীর জার্সিতে তিন গোল সানডের
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। এবার বেলফোর্টের এগিয়ে দেয়া বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট শটে গোল করেন মামুনুল ইসলাম।
এরপরে আর ফিরে আসা হয়নি মারুফুল বাহিনীর। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মারিও লেমসের শিষ্যরা।
এ জয়ে লিগ টাইটেল প্রত্যাশী কিংসের সঙ্গে ব্যবধান কমাল আবাহনী। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা কিংসের সঙ্গে আবাহনীর পয়েন্ট ব্যবধান কমে দাঁড়াল ১৩। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।