ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। শেষ ১৬-র ম্যাচে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশরা। থ্রি লায়নদের হয়ে দুটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। স্কোর করেন রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেইন।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বহুল আলোচিত ও হাইপড ম্যাচটিকে ঘিরে যেমন প্রত্যাশা ছিল দর্শকদের সেটি পূর্ণ করতে পারেনি ইংল্যান্ড ও জার্মানি। বরং এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ উপহার দেয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি।
প্রথমার্ধে মাত্র একটি শট অন টার্গেট ছিল ইংল্যান্ডের। ১৬ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের ২৫ গজ থেকে নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন জার্মানির গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার। পরের মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়ারের হেডার থেকেও দলকে নিরাপদে রাখেন জার্মান গোলি।
এরপর আর সুনির্দিষ্ট কোনো আক্রমণে জার্মানিকে বিপদে ফেলতে পারেনি গ্যারেথ সাউথগেইটের শিষ্যরা।
জার্মানদের অবস্থাও ছিল অনেকটা এক রকম। পুরো অর্ধে টিমো ভের্নারের নেওয়া একটিই গোলে শট ছিল। সেটিকে সেভ করেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। গোলশূন্য অবস্থাতে শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিট।
বিরতির পরপর জার্মানি চেষ্টা করে স্কোরবোর্ডের ডাক ভাঙ্গার। ৪৯ মিনিটে কাই হাভের্টসের শট ঠেকিয়ে সেটি হতে দেননি পিকফোর্ড। অন্যপ্রান্তে ধীরে ধীরে নিজেদের গতি পেতে শুরু করে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের কাঙ্ক্ষিত গোল আসে ৭৫ মিনিটে। জ্যাক গ্রিলিশ ওভারল্যাপে বল ছাড়েন বাম প্রান্তে আগুয়ান লুক শর উদ্দেশে। শর নিচু ক্রস নিয়ার পোস্টে খুঁজে পায় স্টার্লিংকে।
একেবারের কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
মিনিট ছয়েক পর সমতা ফেরানোর মোক্ষম সুযোগ পান টমাস মুলার। কিন্তু ইংলিশ কিপারকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
উল্টো ৮৬ মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বসে জার্মানি। এবারের গোলটিরও কারিগর ছিলেন গ্রিলিশ। বাম প্রান্ত থেকে অ্যাস্টন ভিলার এই তারকার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে কেইন নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল আর জার্মানির বিদায়।
এই নিয়ে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার কোনো টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের কাছে নকআউট পর্বে হারল জার্মানি। ইংল্যান্ড শেষ আটে ইউক্রেন ও সুইডেন ম্যাচে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে ।