বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতিহাসের অংশ হয়েও পা মাটিতে স্কালোনির

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ১৩:১৯

১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আলফিও বাসিলের অধীনে আর্জেন্টিনা টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। দুইয়ে আছেন মার্সেলো বিয়েলসা। তিনি ২০০১ ও ২০০২ মৌসুমে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত রেখেছেন দলকে। আর ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে স্কালোনি আছেন তিনে।

বলিভিয়াকে হারিয়ে টানা ১৭ ম্যাচে অপরাজিত আর্জেন্টিনা। পরিসংখ্যানের হিসেবে লিওনেল স্কালোনির এই রেকর্ড আছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের তিন নম্বরে। তার চেয়ে টানা বেশি ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন মাত্র দুই জন কোচ।১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আলফিও বাসিলের অধীনে আর্জেন্টিনা টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। দুইয়ে আছেন মার্সেলো বিয়েলসা। তিনি ২০০১ ও ২০০২ মৌসুমে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত রেখেছেন দলকে। আর ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে স্কালোনি আছেন তিনে।এমন রেকর্ডের পরও উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না স্কালোনি। বলিভিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পরও তার পা আছে মাটিতে। সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, ‘দল সবসময়ই তাদের আসল রূপ দেখিয়েছে। তারাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখনও অনেক কাজ করার জায়গা আছে। কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট।’প্রায় তিন বছর কাজ করে স্কালোনি দলটাকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের দুঃস্মৃতি ভুলে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা এখন বিশ্বের অন্যতম ইনফর্ম দল।তিনি বলেন, ‘দলের ব্যালেন্স খুবই ভালো। আমরা শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছি। নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলেছি। খেলোয়াড়দের কাছে যে বার্তা গিয়েছে তা হলো যেভাবে হোক জিততে হবে। তারা এটা গ্রহণ করেছে। দলের মনোভাব আমার পছন্দ হয়েছে।’মেসি, দি মারিয়া, আগুয়েরোদের মতো অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিতদের পাশাপাশি ক্রিস্টিয়ান রোমেসো, এসেইয়েল পালাসিওস ও নিকোলাস গনসালেসের মতো একঝাঁক উঠতি তারকা বেছে নিয়েছেন স্কালোনি। দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলের সংমিশ্রণকে আদর্শ মানছেন আর্জেন্টিনা বস। তবে এও মনে করিয়ে দিলেন, দলে মাত্র জায়গা ১১টি।তিনি বলেন, ‘স্কোয়াডের সবাই খেলতে চায়। কিন্তু আমি প্রতি ম্যাচে মাত্র ১১ জনকেই বেছে নিতে পারি। আমাদের অনেক ফুটবলারই আছেন যারা সেরা ফর্মে রয়েছেন।’

গোলের পর লাউতারো মার্তিনেসকে লিওনেল মেসির অভিনন্দন। ছবি: এএফপি

কোপা আমেরিকার চার ম্যাচের প্রতিটিতেই স্কোয়াড রোটেশন করেছেন স্কালোনি। লিওনেল মেসি ছাড়া কেউই চার ম্যাচের একাদশে নিশ্চিত ছিলেন না। গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার পর্যন্ত সব পজিশনে একাধিক খেলোয়াড় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখেছেন তিনি।তার কাছে সেরা কম্বিনেশন নেই। প্রতিপক্ষ ও মাঠের কন্ডিশন অনুযায়ী যারা একাদশে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য তারাই খেলছেন ম্যাচে। ফলে দলে তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা।আর এর ফলও পাচ্ছেন স্কালোনি হাতেনাতে। মেসি ছাড়াও তিনজন গোলস্কোরার স্কোরশিটে নাম উঠিয়েছেন তিন ম্যাচে। পুরো টুর্নামেন্টে নিজের ছায়া হয়ে থাকা লাউতারো মার্তিনেস শেষ ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে গোল করেছেন।সার্হিও আগুয়েরো গোল না পেলেও বলিভিয়ার বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করেছেন মেসিকে। সব মিলিয়ে বেশ গুছিয়ে নিয়েছেন স্কালোনি।এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছাতে পারলে আর্জেন্টিনার ইতিহাসের দ্বিতীয় সফল কোচ বনে যাবেন স্কালোনি। তবে সেজন্য আগে রোববার সকালে ইকুয়েডরকে হারাতে হবে আর্জেন্টিনার।

এ বিভাগের আরো খবর