বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে বিদায় করে দিল সুইজারল্যান্ড

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ০৩:৫২

নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে সমতায় থাকে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড নকআউট রাউন্ডের ম্যাচ। এরপর ইনজুরি টাইমে টানটান উত্তেজনা শেষে পেনাল্টি শুটআউটে নাটকীয়ভাবে ফরাসিদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় সুইসরা।

ক্রোয়েশিয়া-স্পেনের আট গোলের থ্রিলারের পর কী অনবদ্য ম্যাচটাই না দেখল ইউরো। ছয় গোলের রোমাঞ্চকর নাটকের মধ্যে পেনাল্টি মিস, দুই মিনিটে দুই গোলে ফ্রান্সের লিড, নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে দুই গোলে সুইজারল্যান্ডের কামব্যাক। কী ছিল না ম্যাচে!

নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে সমতায় থাকে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড নকআউট রাউন্ডের ম্যাচ।

এরপর ইনজুরি টাইমে টানটান উত্তেজনা শেষে পেনাল্টি শুটআউটে নাটকীয়ভাবে ফরাসিদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় সুইসরা।

এই হারে নেদারল্যান্ডসের পর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় অঘটন দেখল ফুটবল বিশ্ব। গত রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ের পর ইউরোর শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিল ফ্রান্স।

প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া-স্পেনের আট গোলের রোমাঞ্চের পর এই ম্যাচে এমন কিছু হবে তা হয়তো অনেকেই আশা করেনি।

ম্যাচের ১৫ মিনিটেই বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সকে চমকে দেয় সুইজারল্যান্ড। হারিস সেফারোভিচের গোলে লিড নেয় ভ্লাদিমির পেতকোভিচের শিষ্যরা। এই গোলের অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সকে বিদায় বলে দিতে পারত সুইজারল্যান্ড। পেনাল্টি মিস করে বসে রিকারদো রদ্রিগেস।

এরপরই ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যায়। দুই মিনিটের মধ্যে কারিম বেনজেমার দুই গোলে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

এরপর ৭৫ মিনিটে পল পগবার দুর্দান্ত গোলে ৩-১ ব্যবধান করে ফেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যখন মনে হচ্ছিল ফ্রান্সই ম্যাচ পকেটে পুরতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই আঘাত করে সুইসরা।

৮১ মিনিটে সেফারোভিচের দ্বিতীয় গোলে আশা জিইয়ে রাখে সুইজারল্যান্ড। পরে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মারিও গাভরানোভিচের গোলে একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার উল্লাসে মাতে সুইজারল্যান্ড।

ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি সময়ে। এই ৩০ মিনিটে কেউই কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য চলে যায় পেনাল্টি শুটআউটে।

এখানেই পা হড়কায় ফ্রান্স। প্রথম চার শটে দুই দলের সবাই গোল করার পর পাঁচ নম্বর পেনাল্টিতে সুইসদের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আদমির মেহমেদি।

ফ্রান্সের শেষ শট নিতে এসে অঘটনটা ঘটে কিলিয়ান এমবাপের পায়ে। বিশ্বকাপের নায়ক থেকে বনে যান ইউরোর ভিলেন।

এমবাপের শট থামিয়ে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলকিপার ইয়ান সোমার। ফ্রান্সকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় দলটি।এতে করে ইউরোর সবচেয়ে বড় অঘটনটা দেখে ফুটবল বিশ্ব। আর দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো ফুটবল দেখার সৌভাগ্য হলো ফুটবল সমর্থকদের।

এ বিভাগের আরো খবর