যত সময় গড়াচ্ছে ব্রাজিলের ওপর প্রত্যাশার চাপ ততটাই বাড়ছে। ফুটবলের যেকোনো টুর্নামেন্টে ব্রাজিল ফেভারিট থাকে। এটাই অলিখিত নিয়ম। কিন্তু এবারের কোপা আমেরিকার বিষয়টা কিছুটা আলাদা।ব্রাজিলের করোনাভাইরাস মহামারির করুণ পরিস্থিতিতে দেশটির জনগণ চায়নি সেখানে কোপা আমেরিকা হোক। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবোল) কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা থেকে সরিয়ে মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশটিতে নিয়ে আসে টুর্নামেন্ট।তাই নিজ মাটিতে শিরোপা জেতার বাড়তি তাগিদ কাজ করছে ব্রাজিলিয়ান তারকাদের। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নেইমার-জেসুসদের উড়ন্ত ফর্ম।টানা ১০ ম্যাচে জিতেছে ব্রাজিল। বি-গ্রুপ থেকে সবার আগে কোপা আমেরিকার নকআউট নিশ্চিত করেছে সেলেকাওরা। সোমবার ভোরে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নামছে স্বাগতিক দল।আগেই নকআউট নিশ্চিত হওয়ায় দলের অব্যবহৃতদের পরখ করে নিতে চাইবেন ব্রাজিলের কোচ লিওনার্দো তিতে। এবারের টুর্নামেন্টে দারুণ সফল তার রোটেশন পলিসি।শেষ গ্রুপ ম্যাচেও তেমনটাই করবেন তিতে। অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভাকে বিশ্রামে রেখে ডিফেন্সে ফেরাতে পারেন এদার মিলিতাও ও মার্কিনিয়োসকে।
আক্রমণে নেইমারের নেতৃত্বে থাকছেন রিচার্লিসন ও রবার্তো ফিরমিনো।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনে নেইমার। ছবি: এএফপি
ইকুয়েডরকে হারাতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউট রাউন্ডে উরুগুয়ের মোকাবিলা করার সম্ভাবনা বেশি ব্রাজিলের।অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর এবারের টুর্নামেন্টে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দুই ড্রয়ে টেবিলের চারে আছে তারা।হেড-টু-হেড লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ব্রাজিল। দুই দলের খেলা ৩৩ ম্যাচে ২৭ বার জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দুইবার জিতেছে ইকুয়েডর।রাতের আরেক ম্যাচে একই সময়ে নামছে বি-গ্রুপের তিনে থাকা পেরু ও তলানিতে থাকা ভেনেজুয়েলা।