নকআউটের প্রথম ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে গেল অপ্রতিরোধ্য ইতালি। অস্ট্রিয়া প্রায় নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল রবার্তো মানচিনির বাহিনীর।
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার পাহাড় টপকে শ্বাসরুদ্ধকরভাবে ম্যাচটা জিতে নিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইতালি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অস্ট্রিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মানচিনির দল।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ইতালিকে এ ম্যাচে বেশ ভাবিয়েছে অস্ট্রিয়া। ম্যাচের দুই অর্ধেই ডিফেন্সের দরজা ইতালির জন্য নিশ্ছিদ্র করে রাখে ডাভিড আলাবারা।
এর মধ্যে উল্টো ইতালির সর্বনাশ করে দিচ্ছিল অস্ট্রিয়া। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মার্কো অর্নাতুভিচের গোলে লিড নিয়ে ফেলেছিল দলটি। পরে ভিএআরের সিদ্ধান্তে গোল বাতিল হলে হাফ ছেড়ে বাঁচে ইতালি। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ হারায় ইতালি। বাম প্রান্ত থেকে উড়ে আসা ক্রস সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে ভলি নিতে ব্যর্থ হোন দলটির ফরোয়ার্ড ডমেনিকো বেরারদি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য ড্রয়ের পর খেলার রংই বদলে ফেলে ইতালি। বদলি হিসেবে নামা ফেদেরিকো কিয়েসার গোলে ম্যাচের ডেডলক ভাঙে আজ্জুরিরা।
ডি-বক্সের সামনে থেকে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্সের ওপর দিয়ে চিপ ক্রস করেন লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলা। ডান প্রান্ত দিয়ে আনমার্কড থাকা কয়েসা বলটা দারুণভাবে মাথা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে নিচে নামান।
বলটা মাটিতে পড়ে ভেসে আসার সময় ডিফেন্ডার কোনার্ড লাইমারকে এক টাচে ড্রিবলিং করে বাঁ পায়ে ঠিক সিক্স ইয়ার্ডের একটু পাশ থেকে বুলেট শট নেন। গোলকিপার বুঝে ওঠার আগেই বল জালে। কাঙ্ক্ষিত গোলে ম্যাচের লিড নিয়ে ফেলে ইতালি।
এরপরে ১১৫ মিনিটে আরও একটি গোলে অস্ট্রিয়ার স্বপ্ন ধূসর করে দেয় ইতালি। মাতেও পেসিনার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা।
লোরেনজো ইনসিনিয়ের ডিফেন্সচেড়া পাস চলে যায় ডি-বক্সের মাঝে থাকা আন্দ্রেয়া বেলোত্তির কাছে। ব্যালেন্স হারিয়ে মাটিয়ে শুয়ে পড়ার সময় বলটা ঠেলে দেন মাতেওর কাছে। বাম পাশ থেকে গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বুলেট শটে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি মাতেও।
দুই গোলের লিড নিয়ে স্বস্তিতে ফেরা ইতালিকে একেবারে চমকে দেয় অস্ট্রিয়া। কর্নার থেকে আসা ক্রস থেকে কাছাকাছি দূরত্বের পোস্টে হেড নেন সাসা কালাদজিক। মুহূর্তেই বল জালে জড়ালে ব্যবধান কমায় অস্ট্রিয়া।
শেষ পর্যন্ত আর সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। হেরে শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিতে হয় অস্ট্রিয়াকে। জয় নিয়ে ডেনমার্কের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইতালি; গড়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড।
এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৪ গোল হজম করেনি ইতালির ডিফেন্স। শেষ আটে বেলজিয়াম বা পর্তুগালের মধ্যকার একটি দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে মানচিনির শিষ্যরা।