গত মৌসুমে ট্রফি শূন্য থাকার পর বেশ ঝড়ঝাপ্টা গেছে রিয়াল মাদ্রিদের ওপর দিয়ে। ক্লাব ছেড়েছেন সফল কোচ জিনেদিন জিদান ও অধিনায়ক সার্হিও রামোস। ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস মাস দুয়েক আগে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পরিকল্পনা করে তোপের মুখে আছেন।এমন অবস্থায় নতুন মৌসুমে নতুন একটা প্রজেক্ট চাচ্ছিলেন মাদ্রিস্তারা। ভক্তদের দাবি ছিল বিশ্বমানের তারকাদের এনে স্কোয়াডকে খোলনলচে পালটে ফেলা। অভিজ্ঞ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে এনে বদলের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে রিয়াল।আগামী এক দশক স্কোয়াডের নেতৃত্ব দেবেন এমন একজন খেলোয়াড় হিসেবে কিলিয়ান এমবাপেকে দলে ভেড়াতে চাইছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এমবাপেও গত মৌসুম শেষে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল এমবাপেকে রিয়ালের সাদা জার্সিতে দেখা সময়ের ব্যাপার মাত্র।তবে সব গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিল স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম কেদেনা এসইআর। তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপেকে এই মৌসুমে কিনছে না। এর মূল কারণ পর্যাপ্ত তহবিল নেই ক্লাবে।এমবাপেকে মাদ্রিদে আনতে হলে অন্তত ১৫ কোটি ইউরো খরচ করতে হবে রিয়ালকে। আর বছরে তার পারিশ্রমিক ও বোনাস মিলিয়ে আরও ৩ কোটি ইউরো দরকার হবে রিয়ালের। আপাতত এই পরিমাণ খরচ করার অর্থ নেই তাদের কাছে।করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ক্ষতির মুখে পড়তে পারে রিয়াল ধারনা বিশেষজ্ঞদের। তেমনটা হলে দামি কোনো খেলোয়াড় তো দুরের কথা, স্কোয়াডের উচ্চ বেতনের তারকাদের ছেড়ে দিতে হবে তাদের। রামোসকে ছাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল সেটাই। একই পথে হাঁটতে পারেন টনি ক্রুস ও রাফায়েল ভারান।শুধু রিয়াল মাদ্রিদই নয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাও আছে আর্থিক সঙ্কটে। মৌসুমে চারজন নতুন খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনজনকেই তারা পেয়েছে ফ্রি ট্র্যান্সফারে।রিয়াল মাদ্রিদ আপাতত এমবাপেকে দলে টানার ইচ্ছা ত্যাগ করলেও এই তারকার ওপর নজর রাখছে তারা। পরের মৌসুমে ২২ বছর বয়সী এই ফরাসি ফরোয়ার্ডকে সই করাতে পারে লস ব্লাঙ্কোস।