২০১৬ সালে মেসিকে নিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ, দ্য স্পেশাল ওয়ান খ্যাত জোসে মরিনিয়োর কথাটা মনে আছে? ‘পাঁচ বছর পরে মেসি ৩৪ হবে আর আমরা কাঁদব।’ মেসির ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে আসা নিয়ে তার এই বাক্য যেন পূর্ণতা পেল আজ।৩৪ বছর বয়সে পা রাখলেন খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি।
মরিনিয়োর ওই কথার মর্ম হয়তো আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ফুটবল-বিশ্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন মেসি।অনেকে এ-ও বুঝতে পারছেন খুব বেশি দিন আর মাঠে থাকবেন না বিশ্বসেরা এই ফুটবলার।
অনেকের মতে, সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসি। আবার অনেকের কাছে মেসি একটি আবেগের নাম।
মেসি আজকের এই দিনে ১৯৮৭ সালে জন্ম নেন আর্জেন্টিনার রোসারিওতে। ছোট থাকতেই ফুটবলে নিজেকে চেনান।তার জাদুতে মুগ্ধ হয়ে কোনো বিলম্ব না করে পেপার ন্যাপকিনেই তার সই নিয়ে চুক্তি সেরে ফেলে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনা।
হরমোন সমস্যায় জর্জরিত মেসি বার্সায় এসে কী না জেতেননি। ক্লাবকে হাতভরে দিয়েছেন ট্রফির পর ট্রফি। নিজেও বিশ্বের সর্বোচ্চ ছয়বার জিতেছেন বিশ্ব সেরার খেতাব।
এত অর্জনের আলোর নিচেও যেন আছে অন্ধকার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে আন্তর্জাতিক ট্রফি না পাওয়ার বেদনা। যে বেদনায় পুড়েছিলেন বিশ্বকাপসহ তিন তিনটি ফাইনালে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি মেসি। পারেনি কেউ।
আলবিসেলেস্তেদের হয়ে অলিম্পিক আর বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ জিতলেও সিনিয়র দলের হয়ে একটা অর্জনই অধরা তার। আন্তর্জাতিক ট্রফি।সেই আক্ষেপ মেটানোর আশা নিয়ে নিজের ৩৪তম বসন্তে ১০ম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে মেসি এখন ব্রাজিলে।
তার দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে। ব্রাজিলেই কী হবে সেই আক্ষেপ পূরণ? সেটা আপাতত নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে এতটুকু বলা যায়, মেসির ম্যাজিক দেখার সুযোগ থাকছে আর কটা বছর।তত দিন না-হয় তার জাদুতে মোহিত হয়ে থাকাই হোক সবার চাওয়া।