চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল বুডাপেস্টে। ২০১৬ সালের সবশেষ ইউরোর দুই ফাইনালিস্ট মুখোমুখি হয় ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে।ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া হয়নি ফ্রান্সের। চার গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
তারপরও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। আর তিনে থেকে শেষ ষোলোতে পা রাখল পর্তুগাল।
নকআউট পর্বে ফ্রান্স প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে সুইজারল্যান্ডকে। অন্যদিকে পর্তুগাল প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল বেলজিয়ামকে।
তবে পর্তুগাল-ফ্রান্সের শেষ গ্রুপ ম্যাচে ২-২ স্কোরলাইন রং ছড়াল ‘পেনাল্টি নাটকে’। ম্যাচের চার গোলের তিনটিই আসে পেনাল্টি থেকে।
পেনাল্টি রোমাঞ্চ শুরু হয় ম্যাচের ৩১ মিনিটে। ফরাসি অধিনায়ক ও গোলকিপার উগো লরিসের ফাউল থেকে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল।স্পট থেকে দলকে লিড এনে দিতে ভুল করেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। চলতি ইউরোতে নিজের চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেন এই মহাতারকা।
রোনালডোর গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারত পর্তুগাল। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে এবার পেনাল্টি আদায় করে নেয় ফ্রান্স।
গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কারিম বেনজেমা। চলতি ইউরোতে এটাই তার প্রথম গোল। আর ফ্রান্সের জার্সিতে ২০১৫ সালের পর প্রথম।
বিরতিতে থেকে ফিরে প্রথম দুই মিনিটের মাথায় প্রথমবারের মতো ম্যাচের লিড নিয়ে নেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবার পল পগবার নিখুঁত পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে নিজের জোড়া গোল আদায় করেন বেনজেমা।
সমান তালে চলতে থাকা ম্যাচটা তৃতীয় পেনাল্টি দেখে ৬৬ মিনিটে। এবারও গোলদাতার ভূমিকায় রোনালডো। তার দ্বিতীয় গোলে সমতায় ফেরে পর্তুগাল।আর এই গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরানের আলি দাইয়ির ১০৯ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
ঠিক দুই মিনিট পর আবারও লিড হতে পারত ফ্রান্সের। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পগবার বাঁকানো শট ফিস্ট করে দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন পর্তুগালের গোলকিপার রুই পাত্রিসিও।ফিরতি বলে ডান প্রান্ত থেকে নেয়া আঁতোয়া গ্রিজমানের শটও রুখে দেন পর্তুগালের গোলকিপার।
এই ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে ফ্রান্স। আর গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ১৬ নিশ্চিত করে পর্তুগাল।