জাতীয় দলের প্রধান কোচের চাকরি টিকে গেল জেমি ডের। কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে জেমির ঘারেই পড়ছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে এই ইংলিশ টেকটিশিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফে বসের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পারফরম্যান্স ব্যাখ্যা করেছেন জেমি। একইসঙ্গে এই কোচের চাওয়া, বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ভালো প্রস্তুতির জন্য সামনের তিন ফিফা উইন্ডোতে অন্তত ৬টি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মূল পর্ব শুরু হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। মাঝে জাতীয় দল পাচ্ছে প্রায় সাত মাসের বিরতি। এর মাঝে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বরে ফিফা উইন্ডো আছে। এই তিন উইন্ডোতে লাল-সবুজরা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলতে চায় ছয়টি ম্যাচ।
এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর মধ্য দিয়ে কোচ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী দলের প্রস্তুতিতে কাজ করার কথা জানালেন জেমি।
তিনি বলেন, ‘আমি ম্যাচ জেতার মতো প্রতিপক্ষ যেমন চাই, তেমনি কঠিন প্রতিপক্ষও প্রত্যাশা করছি, নিজেদের শক্তির মূল্যায়নের জন্য। মোট কথা প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী এবং সমমানের দলের সমন্বয় চাই।’
হোম ও অ্যাওয়ে হিসেবেই ম্যাচগুলো খেলার ইচ্ছা জেমির, ‘জাতীয় দলের খেলা দেশের মানুষ যাতে দেশে বসে দেখতে পারে সে জন্য হোমে খেলতে চাই। আবার বিদেশী কন্ডিশনেও খেলার ইচ্ছে।’
কোচের এই চাওয়াটা নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়ন ও করোনা পরিস্থিতির ওপর। ছয়টি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনে ন্যূনতম সাড়ে তিন কোটি টাকার উপরে অর্থের দরকার ফেডারেশনের।
বাফুফে বস কাজী সালাউদ্দিনের মতে, ‘আগে আমাকে এক ম্যাচের জন্য কম পক্ষে ৬০ লাখ টাকা জোগাড় করতে হবে তারপর ম্যাচ।’
আপাতত জেমিকে গত বাছাইয়ের মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ দেশের বাইরে ফেরার পরই আবারও জেমির সঙ্গে বৈঠকে বসবে ফেডারেশন।