হাঙ্গেরির বিপক্ষে ইউরোর প্রথম ম্যাচে জয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল পর্তুগাল। আর ফ্রান্সের কাছে আত্মঘাতী গোলে হেরে ব্যাকফুটে টুর্নামেন্ট শুরু করে জার্মানি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো-ব্রুনো ফার্নান্দেসদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে ভেলকি দেখাল জার্মানি। এক গোলে পিছিয়ে থেকে পর্তুগালকে উড়িয়ে দিল ওয়াকিম লোভের বাহিনী।
ঘরের মাঠে পর্তুগালকে স্বাগতিকরা ধসিয়েছে ৪-২ গোলে।
আলিয়াঞ্জ আরেনায় ম্যাচের শুরুটা একেবারে ভিন্ন ছিল। ঘরের মাঠে ফ্রান্সের কাছে হারের ক্ষত তখনও শুকায়নি জার্মানির। এর মধ্যে স্বাগতিকদের জালে ম্যাচের ১৫ মিনিটে বল পাঠিয়ে চমকে দেয় পর্তুগাল। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রোনালডোই লিড এনে দেন দলকে।
এরপরই তোলপাড় শুরু হয় জার্মানির। প্রথমার্ধ শেষের আগেই দুই গোলে ম্যাচের লিড নিয়ে নেয় জার্মানি। দুটি গোলই এসেছে পর্তুগালের আত্মঘাতী গোলে। রুবেন দিয়াস ও রাফায়েল গেরেরোর দুই আত্মঘাতী গোলের খেসারতে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফেরার পর তাদের দম ফেলার সুযগ দেয়নি জার্মানি। ছয় মিনিটের মাথায় কাই হাভের্টসের গোলে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে ডাই মানশাফট। ম্যাচ ততক্ষণে পর্তুগালের হাত থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করেছে।
এর ঠিক নয় মিনিট পর রবিন গোসেনসের আরেকটি গোলে ব্যবধান ৪-১ করে ফেলে স্বাগতিকরা। ম্যাচে ফেরার সময় ছিল পর্তুগালের হাতে। ৬৭ মিনিটে ব্যবধানও কমিয়ে ফেলে পর্তুগাল।
এবারও আক্রমণের নেতৃত্বে রোনালডো। তার সাজিয়ে দেয়া বলে গোল করে ব্যবধান কমান দিয়োগো জোতা।
এরপরে আর গোলের দেখা না পেলে এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি। চলতি ইউরোতে এটা জার্মানির প্রথম জয়। আর প্রথম হার পর্তুগালের।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে জার্মানি। আর একই পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পর্তুগাল আছে তিনে। নক আউট পর্বের লড়াইয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি জার্মানি খেলবে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ২৪ জুন। আর পর্তুগাল খেলবে একই দিন ফ্রান্সের বিপক্ষে।