নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারায় জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডের ওপরে চটেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। পরে জেমির মুখে সিরিজ হারার ব্যাখ্যাতেও মন গলেনি বাফুফের সভাপতির। পরে জানিয়ে দেন বিশ্বকাপ বাছাই পর্যন্ত দেখবেন তাকে।
জাতীয় দলের ফলে সন্তুষ্ট না হলেই চাকরিচ্যুত হচ্ছেন জেমি, এমন গুঞ্জন ছিল দেশের ফুটবলাঙ্গনে। সালাহউদ্দিনের জবাব, ‘কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। পরে বসে ঠিক করব।’
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান বাছাই দ্বিতীয় পর্বের বাধা টপকে গেছে বাংলাদেশ। এতে সন্তুষ্টি ফিরেছে ফেডারেশনে।
তবে বাফুফের একটা পক্ষ জেমিকে ছাটাই করার পক্ষে। তাদের দাবি, তৃতীয় রাউন্ডে উতরে গেলেও কাতারে বাংলাদেশ পারফরম্যান্স মনে ধরেনি। এজন্য দোহা থেকে বাংলাদেশে ডেকে আনা হচ্ছে জেমিকে।
তিন বছর আগে বছরের মাঝামাঝি সময়ে জেমিকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাফুফে। পরে তার সঙ্গে আরও দুই বছরের নতুন চুক্তি নবায়ন করা হয়। চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে।
সহজেই তাকে বিদায় করা যাচ্ছে না। কারণ তার চুক্তির শর্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের অন্যতম এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, ‘চুক্তিতে কিছু ঝামেলা আছে। তাই অতটা সহজ হবে না তাকে বহিষ্কার করাটা। বহিষ্কার করলে বিপুল অর্থ দিতে হবে।’
ফেডারেশনের সূত্র মতে, কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষে আগামী রোববার বা সোমবার কোচের সাথে বসবেন বাফুফে সভাপতি। এসময় কোচের পরিকল্পনা ও ফেডারেশনের চাহিদা নিয়ে আলোচনা হবে। তৃতীয় রাউন্ড শুরু হওয়ার আগে দুই পক্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।
জেমি ডের অধীনে এখনও কোনো শিরোপা জেতেনি বাংলাদেশ। অর্জন বলতে ২০১৮ এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। সেটাও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলায়।
এছাড়া সাফ ফুটবলের গ্রুপ পর্বেই বিদায় ও বঙ্গবন্ধু গোলকাপে সেমি থেকে ছিটকে যাওয়াসহ খেলার ধরন নিয়েও অখুশি অনেকে।
এর পরও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত জেমি ডের ওপর আস্থা রাখতে চলেছে ফেডারেশন।