জার্মানিকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসর শুরু করা ফ্রান্সকে রীতিমত কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল হাঙ্গেরি। দুর্দান্ত গোল করে ম্যাচ লিড নিয়েছিল দলটি। পরে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের গোলে হালে পানি পায় ফ্রান্স।
বুদাপেস্টে গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের বিপক্ষে কী দুর্দান্ত ফুটবলটাই না খেলেছে হাঙ্গেরি। ফ্রান্সকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে প্রথম পয়েন্ট অর্জন করল দলটি।
এদিকে এই ড্রয়ে শেষ নক আউট পর্ব নিশ্চিত করা হলো না ফ্রান্সের।
ম্যাচের শুরু থেকেই হাঙ্গেরির দর্শকদের উল্লাসে উত্তাল স্বাগতিকরা প্রথমার্ধ রুখে দেয় ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণ। আধিপত্য নিয়ে খেলা ফ্রান্সের সব ধ্বংসযজ্ঞ যেন থেমে যায় হাঙ্গেরির রক্ষণে।
মাঝেমধ্যে প্রতিআক্রমণে হাওয়া বদল করে দিচ্ছিল স্বাগতিকরা।
খেলা যখন প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় গোলশূন্য স্কোর দেখছিল সবাই। এমন জায়গা থেকে ফ্রান্সকে বাকরুদ্ধ করে দেয় দলটি। পাল্টা আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে হেডে বল পান সালাই। ভারানেকে গতিতে পরাস্ত করে বলটা এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার আটিলা ফিওলার কাছে।
কাজ শেষ করতে কষ্ট পেতে হয় না তার। একেবারে টান দিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে গিয়ে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসকে বোকা বানিয়ে মাটি কাঁপানো শটে বল জালে জড়ান ফিওলা। উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে এবার লরিসই যেন ফ্রান্সকে উদ্ধার করলেন পেছন থেকে। হাঙ্গেরির ফ্রি-কিক গ্লাভসবন্দী করে বল লম্বা শটে এগিয়ে দেন সামনে। এখান থেকে বল দখলে নিয়ে এমবাপে ডি-বক্সের ডানপ্রান্তে ঢুকে পড়ে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে এগিয়ে দেন।
রক্ষণ থেকে বলটা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারলে একেবারে ফাঁকায় থাকা গ্রিজমান সুযোগ বুঝে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরার ভুল করেননি বার্সার এই স্ট্রাইকার।
এই ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হলে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় দুই দল। আর পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে যায় ফ্রান্স। আর জার্মানিকে টপকে তিনে উঠে যায় হাঙ্গেরি। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে হেরেছিল হাঙ্গেরি।