জাতীয় দলের জার্সি পরে থামানো মুশকিল নেইমারকে। যেভাবে গোলের পর গোল করে চলেছেন তাতে কিংবদন্তি পেলেকেও ছাড়িয়ে যেতে বেশি দিন হয়তো লাগবে না এই ব্রাজিলিয়ানের। সর্বোচ্চ পাঁচবার বিশ্বকাপজয়ী এই দলটার ভরসার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছেন নেইমার।
পেলের পর সেভাবে কেউই তার লিগ্যাসির কাছাকাছি আসতে পেরেছেন হাতে গোনা দু-একজন। রোনালডো নাজারিও তাদের একজন। এরপরে অনেকটা সময় পর নেইমারের মধ্যে সেই সম্ভাবনা দেখেছেন সমর্থকরা।
পেলের গোলের রেকর্ড ছাড়ানোর পাশাপাশি নেইমারকে তাই তার স্বদেশি ফুটবল কিংবদন্তির শিরোপা সংখ্যার কাছাকাছি যাওয়ার বিকল্প নেই।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০১০ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় নেইমারের। তিন বছর কনফেডারেশন কাপ জেতেন পিএসজির এই তারকা। জেতেন অলিম্পিকও।
কোপা আর বিশ্বকাপের শিরোপা অধরা এই ফুটবলারের।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল যখন আয়োজক দেশ, নেইমার তখন বার্সেলোনায় বেশ ভালো ফর্মে। ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরির দুঃখ নিয়ে চলে যেতে হয় তাকে। দলও বাদ পড়ে সেমিতে জার্মানির কাছে হেরে।
সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপেও দারুণভাবে আসর শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় ব্রাজিলকে। বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন রাশিয়ায় রেখে আসতে হয় নেইমারকে।
আশা দীর্ঘ হচ্ছে এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ তিনবার বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। সমর্থকদের চাওয়া, পেলের কাছাকাছি আসতে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে হবে নেইমারকে।
এখনও অন্তত আরও দুটি বিশ্বকাপ পাবেন নেইমার। বয়স মাত্র ২৯। আপাতত ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকা জেতার সুযোগ থাকছে তার সামনে।
সুযোগ রয়েছে পেলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছাড়াবার। আর মাত্র ১১টি গোল করলেই পেলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবেন এই ফুটবলার।