গতবারের মতো এবারও প্লে-অফ খেলেই এশিয়ান কাপের মূল পর্বের বাছাই খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু এবার এএফসির নতুন নিয়মে, তৃতীয় সেরা পঞ্চম দল হিসেবে টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলার সুযোগ পেল জামাল-ভূঁইয়ারা।
এর সহজ অর্থ দাঁড়ায়, এবার আর প্লে-অফ খেলতে হচ্ছে না বাংলাদেশের।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে তৃতীয় রাউন্ডে চলে গেল জেমির বাহিনী। ফলে এখানে আগামী দুই বছরে আরও ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে লাল-সবুজরা।
মূলত দ্বিতীয় পর্বে দুই পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম হয় বাংলাদেশ। আগের নিয়মে পঞ্চম হওয়ায় প্লে-অফ খেলতে হতো বাংলাদেশের। কিন্তু এএফসির নতুন নিয়মে, তিন সেরা পঞ্চম দল সুযোগ পাবে মূল বাছাইপর্বে। মানে ২২ দল সুযোগ পাবে তৃতীয় রাউন্ডে।
কাটায় কাটায় ২২তম দল হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ। আট গ্রুপের পঞ্চম হওয়া বাকি দল- ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চায়নিজ তাইপে, গুয়ামের কপালে এটা জোটেনি। উত্তর কোরিয়ার নাম প্রত্যাহার, কাতার বিশ্বকাপ স্বাগতিক, এশিয়ান কাপ স্বাগতিক চীনের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সরাসরি সুযোগ পাওয়া- সবগুলো ব্যাপারই প্রভাবক হিসেবে কাজে দিয়েছে বাংলাদেশের।
এশিয়ান কাপে বাছাইয়ে খেলবে ২৪ দল। সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশসহ ২২ দল। ২২তমই বাংলাদেশ। আর প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে আরও দুই।
তৃতীয় রাউন্ডে ৬ গ্রুপ। চারটি করে দল থাকবে একটি গ্রুপে। আগের নিয়মে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে হিসেবে আগামী দেড় বছরে আরও ছয়টা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে জামালদের।
এতে করে ৪১ বছরে প্রথমবার এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ হলো বাংলাদেশের।