বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স তাদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন শুরু করেছে জয় দিয়ে। আত্মঘাতী গোলের সৌভাগ্য নিয়ে জার্মানি-বধ করেছে গত ইউরোর রানারআপরা। তবে বাঘে-মহিষের লড়াইয়ে জমজমাট ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।
নিঃসন্দেহে ইউরোর চতুর্থ দিনের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটা দেখল ফুটবল সমর্থকরা। ডেথ গ্রুপের দুই দল চারবারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানি বনাম দুইবারের বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা ফ্রান্স। ম্যাচে এক গোলে জার্মানিকে হারায় ফ্রান্স।
মিউনিখে ঘরের মাঠে ফ্রান্সকে আতিথ্য দেয় জার্মানি। নির্দ্বিধায় ম্যাচে দুই দলের মধ্যে বেশ এগিয়ে ছিল ফ্রান্স।
বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল জার্মানি। তবে আক্রমণে সেভাবে ভয়ংকর হতে পারেনি ওয়াকিম লোভের শিষ্যরা।
এই ফায়দাটাই কড়ায় গণ্ডায় তুলেছে দিদিয়ের দেশঁমের বাহিনী। কাউন্টার অ্যাটাকে বারবারই জার্মান রক্ষণ চ চূর্ণবিচূর্ণ করেছে এমবাপে-পগবা-গ্রিজমানরা।
গোলশূন্য চলতে থাকা ম্যাচের ২০ মিনিটে ম্যাটস হামেলসের আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। ডান প্রান্ত থেকে পল পগবার সৃজনশীল বাঁকানো ক্রস বাম প্রান্তে ফাঁকায় পেয়ে যান লুকাস হার্নান্দেজ।
সঙ্গে সঙ্গে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে বাড়িয়ে দেন বায়ার্ন মিউনিখের এই লেফটব্যাক। ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে জড়ান জার্মানির ডিফেন্ডার হামেলস।
পরে এমবাপের দারুণ একটা সুযোগও অসাধারণ দক্ষতায় ট্যাকল করে সেভ করেন হামেলস। তা না হলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলত ফ্রান্স।
এটা ছাড়াও আরও দুটি গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। এমবাপের ডান পায়ে বাঁকানো শটে জালে জড়ানো গোল আর বেনজেমার প্রত্যাবর্তনের ফিনিশিং বাতিল হয় অফসাইডের ফাঁদে পড়ে।
এসবের মাঝে বলতে গেলে সুবর্ণ সুযোগ একটাই পায় স্বাগতিকরা। সার্জ জিনাব্রি ডি-বক্সের ভেতরে থেকে প্রায় ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও বারের উপর দিয়ে মেরে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন।
পুরো ম্যাচে যোগ্য দল হিসেবেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। এ জয়ে এক ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে আসে তারা। একে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে পর্তুগাল।
দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরিকে পাচ্ছে ফ্রান্স। আগামী ১৯ জুন ম্যাচটি খেলবে দুই দল। আর প্রথম জয়ের লক্ষ্যে জার্মানির প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরিকে তিন গোলে হারানো পর্তুগাল।