পুরো ম্যাচ দাপট নিয়ে খেলে সুযোগের পর সুযোগ হারিয়ে সুইডেনের কাছে পয়েন্টই খোয়াল তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
নিজ মাঠ সেভিয়ার এস্তাদিও কার্তুহায় গ্রুপ ‘ই’র প্রথম ম্যাচে সুইডেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লুইস এনরিকের দল স্পেন।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য নিয়ে খেলে গেছে স্পেন। ৮৫ শতাংশ বল দখল রেখে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে দলটি।
সুইডেন যে একেবারে সুযোগ পায়নি তা নয়। মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে ঝলক দেখিয়েছে তারা। কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল তাদের কপালে।
তবে ম্যাচের লাগাম ধরে রেখে আক্রমণ সাজিয়ে যায় স্পেন। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে বড় একটি সুযোগ নষ্ট করে স্বাগতিকরা।
জর্দি আলবার ক্রস থেকে ডি-বক্সের ভেতরে গোলকিপারকে একা পেয়েও বল বারের বাইরে মেরে দেন আলভারো মোরাতা। ঠিক তিন মিনিট পর ভাগ্যের কাছেই বেঁচে যায় স্পেন।
বলা যায় দুর্ভাগ্য সুইডেনের। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবলিং করে বল নিয়ে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে চলে আসেন সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেক্সান্ডার আইসাক। স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমনকে পরাস্ত করে বল বারে যাওয়ার সময় তা ডিফেন্ডার আয়মেরিক লাপোর্তের পায়ে বাধা পেয়ে বারে লেগে ফিরে আসে। এতে হতাশ হতে হয় সুইডেন সমর্থকদের।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে স্পেন।
৬১ মিনিটে হঠাৎই ছন্দপতন এনরিকের শিষ্যদের। এবার সেই আইসাক বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সের ভেতরে।
দুই-তিনজনের জটলায় থাকা বলটা বের করে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থাকা সতীর্থ মার্কাস বার্গকে দিলে খালি পোস্ট পেয়েও বল অবিশ্বাস্যভাবে বারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। আরেকবার হতাশ হতে হয় সুইডেনকে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সবচেয়ে বড় সুযোগটা হাতছাড়া হয় স্পেনের।
বদলি হিসেবে নামা দুই খেলোয়াড় পাবলো সারাবিয়া ও জেরার্ড মরেনো এই সুযোগটা তৈরি করেন। সারাবিয়ার উড়ে আসা ক্রসে হেড করেন মরিনো। জালে ঢুকতে থাকা বলটা দারুণভাবে পা দিয়ে বিপদমুক্ত করেন সুইডেনের গোলকিপার রবিন ওলসেন।
তার এক মিনিট পর আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে স্পেন। এবার বাম প্রান্ত থেকে জর্ডি আলবার ক্রস ঠিকমতো পায়ে জমাতে পারেননি সারাবিয়া। বল পায়ে লেগে সোজা চলে যায় গোলকিপারের হাতে।
সুইডেনের সঙ্গে হোঁচট নিয়েই ইউরো মিশন শুরু করেছে স্পেন। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ২০ জুন স্পেন লড়বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে।