বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই খেলতে জাতীয় ফুটবল দল এখন কাতারে। ওমান ম্যাচকে সামনে রেখে ঘাম ঝড়াচ্ছেন ফুটবলাররা। টিম হোটেলে না হলেও একইসঙ্গে সবাই অনুশীলন মাঠ আর জিমনেসিয়ামে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। তবুও রোববার সারাদিন সতীর্থ তারিক কাজীর সঙ্গে কথা বলেননি জামাল ভূঁইয়া।
কিন্তু কেন?
হঠাৎ ছোট ভাই তারিকের উপরে জামালের ক্ষেপে যাওয়ার কারণ কি?
না। ঠিক রাগ, ক্ষোভ বা অভিমানে নয়। বরং ‘লজ্জায়’ তারিকের সঙ্গে কথা বলছেন না জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।
কারণটা চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। জামাল ভূঁইয়ার পছন্দের দল ডেনমার্ক যেখানে তিনি ফুটবল খেলে বড় হয়েছেন সেই দল হেরেছে তারিক কাজীর বেড়ে ওঠার দেশ ফিনল্যান্ডের কাছে।
ম্যাচটা টিম হোটেলে ভিন্ন ভিন্ন রুমে দেখেছেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার তারিক কাজী। ম্যাচ চলাকালীন দুই জনের মধ্যে বার্তা বিনিময় হয়েছে। ডেনমার্ক গোল খাওয়ার পর জামালকে খোঁচা দিতেও নাকি ছাড়েননি তারিক।
নিজের মুখেই রোববার এই খুনশুটির গল্প শোনালেন জামাল ভূঁইয়া, ‘ম্যাচের আগে তারিক আমাকে জিজ্ঞেস করেছে ম্যাচ দেখবে কী না। এরপরে ম্যাচ যখন শুরু হয়েছে, ম্যাচের মাঝে মেসেজ চালাচালি হয়েছে আমাদের।
ম্যাচের শুরুতে দলের সঙ্গে তারিক কাজী ও জামাল ভূঁইয়া
ডেনমার্ক যখন হেরেছে তারপর থেকেই সারাদিন তারিকের সঙ্গে কথা বলেননি বলে জানালেন জাতীয় দলের অধিনায়ক, ‘ফিনল্যান্ড যখন লিড নিল তখন সে আবারও আমারে মেসেজ দিছে। আজকে কিচ্ছু বলব না ওর সাথে। ওরা জিতছে।’
জামাল ভূঁইয়ার পর দ্বিতীয় প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক হয় তারিক কাজীর।