হার্ট অ্যাটাকের পর এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন ডেনমার্কের তারকা মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ডেনমার্কের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বার্তায় জানায়, ২৯ বছর বয়সী এরিকসেন শঙ্কামুক্ত আছেন।তাকে কোপেনহেগেনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডেনমার্ক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে রোববার সকালে চিকিৎসক, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সতীর্থদের উদ্দেশে দিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।ডেনিস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তার অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে আরও পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা সকালে ক্রিস্টিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে সতীর্থদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।’ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বি-গ্রুপের ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ডের ম্যাচে ডেনমার্ক ও টটেনহ্যাম হটস্পারের তারকা মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যান।পরে ধরা পড়ে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে মাাঠের বাইরে নেয়ার পর ম্যাচ স্থগিত করা হয়। আর এরিকসেনকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নেয়া হয়।ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টে শনিবার রাতে কোপেনহেগেনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামে ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড। ইতিহাসে প্রথমবার কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলছিল ফিনল্যান্ড।
ম্যাচ গোলশূন্য নিয়ে চলছে প্রথমার্ধে। ৪০ মিনিটের মাথায় থ্রো পায় ডেনমার্ক। লাইনের কাছাকাছি ছিলেন এরিকসেন। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরে সতীর্থরা তাকে ঘিরে ধরেন। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
প্রায় ১৩ মিনিট পর চোখ খুলতে দেখা যায় টটেনহ্যামের এই ফুটবলারকে। হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় তাকে সিপিআর দেয়া হয় মাঠের মধ্যেই।
এরপর দ্রুত তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডেনমার্ক দলের ডাক্তার মার্টিন বোয়েসেন বিবিসিকে জানান, ‘আমরা যখন মাঠে তার কাছে যাই সে শ্বাস নিচ্ছিল। আমি পালস পেয়েছি তার। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি পালটে যায় যার কারণে আমাদের সিপিআর দিতে হয়েছে। মেডিক্যাল টিমের কাছ থেকে খুব দ্রুত সাহায্য পেয়েছি। সবার সাহায্যেই ক্রিস্টিয়ানকে ফিরে পেয়েছি আমরা।’
ডেনমার্ক ম্যাচে ফিনল্যান্ডের কাছে একমাত্র গোলে হেরে গেলেও হার-জিতের চেয়ে দুই দলের কাছেই বড় ছিল এরিকসেনের সুস্থতা।
ম্যাচে গোল করার পর ফিনল্যান্ডের ফরোয়ার্ড জোয়েল পোহানপেলো গোল করার পর এরিকসেনের সম্মানে উদযাপন করা থেকে বিরত থাকেন।
রাতের আরেক ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে গোলের পর এরিকসেনকে গোল উৎসর্গ করেন বেলজিয়াম তারকা ও এরিকসনের ক্লাব সতীর্থ রোমেলু লুকাকু। গোল করার পর ক্যামেরার সামনে গিয়ে বন্ধুর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য বলেন, ‘ক্রিস, ক্রিস ভালোবাসি তোমায়’।