বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফো-মুয়াম্বার স্মৃতি মনে করালেন এরিকসেন

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১৫:১৫

ফুটবল মাঠে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে প্রাণ হারানোর ঘটনা নতুন নয়। এমন কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর মাঠেই পড়ে যান ডেনমার্কের সুপারস্টার মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়।টিভিতে এরিকসেনের হার্ট অ্যাটাকে মাঠে পড়ে যাওয়ার দৃশ্যে হতবাক হয়ে পড়েন বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক। সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনেকের মাথায় আসে ফ্যাব্রিস মুয়াম্বা ও মার্ক-ভিভিয়েন ফোর স্মৃতি।

ফুটবল মাঠে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে প্রাণ হারানোর ঘটনা নতুন নয়। এমন কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

ফ্যাব্রিস মুয়াম্বা২০১২ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের এফএ কাপে টটেনহ্যাম হটস্পার-বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ম্যাচ চলার সময় মাঠের মধ্যে পড়ে যান বোল্টনের মিডফিল্ডার ফ্যাব্রিস মুয়াম্বা। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকেরা ছুটে যান মাঠে।

হাসপাতালে নেয়ার সময়ও হার্ট চালু হয়নি তার। ৭৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর তার হার্টকে সচল করতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা।ত্রুটিপূর্ণ হার্ট নিয়েই জন্মেছিলেন কঙ্গোর বংশোদ্ভূত মুয়াম্বা। হার্ট অ্যাটাকের পর সুস্থ হয়ে আর মাঠে ফেরেননি তিনি। চিকিৎসকেরা তাকে জানান, মাঠে নামলে এমনটা আবারও হতে পারে। ওই বছরের আগস্টে ২৪ বছর বয়সী মুয়াম্বা অবসর নেন পেশাদার ফুটবল থেকে।এরিকসেনের হার্ট অ্যাটাকের দৃশ্য টিভিতে দেখছিলেন লন্ডনের নাগরিক মুয়াম্বা। সঙ্গে সঙ্গে টুইটে প্রার্থনা বার্তা পাঠান তিনি। লেখেন, ‘ঈশ্বর সহায় হোন।’

মার্ক-ভিভিয়েন ফো

মুয়াম্বার মতো ভাগ্যবান ছিলেন না মার্ক-ভিভিয়েন ফো। ক্যামেরুনের এই মিডফিল্ডার জাতীয় দল ও ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম সেরা তারকা ছিলেন।২০০৩ সালের কনফেডারেশনস কাপের ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয় ক্যামেরুন। নিজের সাবেক ক্লাব লিওঁর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৭২ মিনিটে মাঠেই পড়ে যান ফো।

হার্ট অ্যাটাকের পর মার্ক-ভিভিয়েন ফোকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের শত চেষ্টাতেও আর জ্ঞান ফেরেনি তার। ৪৫ মিনিট ধরে তার হার্টকে ফের সচল করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় চিকিৎসক দল। না ফেরার দেশে চলে যান ২৮ বছরের ফো।তার মৃত্যুর পর চিকিৎসকেরা জানান, জন্মগত হাইপারট্রিফিক কার্ডিওমাইয়োপ্যাথিতে আক্রান্ত ছিলেন ফো। এই রোগে হার্টের দেয়ালের পেশি পুরু হয়ে যায়। ফলে খেলাধুলা বা হার্টে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ করা হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

আন্তোনিও পুয়ের্তা

একইভাবে মাঠের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করেন সেভিয়ার স্প্যানিশ উইঙ্গার আন্তোনিও পুয়ের্তা। ২০০৭ সালের ২৫ আগস্ট লা লিগার ম্যাচে হেতাফের বিপক্ষে হার্ট অ্যাটাক হয় তার।

সেভিয়ার অধিনায়ক আন্তোনিও পুয়ের্তা। ফাইল ছবি

সে সময় চিকিৎসকদের শুশ্রূষার পর হেঁটে মাঠ ছাড়লেও হার্ট অ্যাটাকজনিত সমস্যায় তিন দিন পর মারা যান ২২ বছর বয়সী পুয়ের্তা। হার্টে জন্মগত সমস্যা ছিল তারও।

চেইক তিয়োতে

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর পরের নামটি আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার চেইক তিয়োতের। ২০১৭ সালের ৫ জুন নিউকাসল ইউনাইটেডের সাবেক এই তারকা চায়নিজ সুপার লিগের দল বেইজিং এন্টারপ্রাইজেসের হয়ে অনুশীলনের সময় হার্ট অ্যাটাক করেন।

কোত দে ভোয়ার মিডফিল্ডার চেইক তিওতে। ফাইল ছবি

তাকে ফেরানো যায়নি। হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৩০ বছর বয়সী এই আইভোরিয়ান।

ইকার কাসিয়াস

অনুশীলনে হার্ট অ্যাটাক করেন স্পেনের কিংবদন্তি গোলকিপার ইকার কাসিয়াসও। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোর হয়ে অনুশীলনের সময় হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। তবে সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফেরেন পরের মৌসুমে।

পোর্তোর জার্সিতে ইকার কাসিয়াস। ফাইল ছবি

ফুটবলারদের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে সোচ্চার লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর মতো বিশ্বসেরা তারকা এবং পেপ গার্দিওলা, জোসে মরিনিয়োর মতো কোচরা।ঘরোয়া লিগ, কাপ, মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট, আন্তর্জাতিক কাপ ও লিগ মিলিয়ে মৌসুমে ৫০ থেকে ৬০টি ম্যাচ খেলতে হয় একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের পেশাদার ফুটবলারকে। অনুশীলনে ব্যস্ত থাকতে হয় বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ দিন।

এই চাপ অনেক ক্ষেত্রেই যে তাদের হার্ট নিতে পারে না, তার প্রমাণ ফো-মুয়াম্বারা। ফিফা, ইউয়েফার মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে খেলার সংখ্যা কমানোর আবেদন করেন গার্দিওলা, মেসিরা।

এ বিভাগের আরো খবর