বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাতারে অবস্থান করছে জাতীয় ফুটবল দল। এই অর্ধ মাসে বলতে গেলে হোটেল আর মাঠ এই দুই জায়গায় বন্দি হয়ে আছেন ফুটবলাররা। কোথাও বের হওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।
দীর্ঘ সময় এমন বন্দি অবস্থায় থাকা ফুটবলারদের মানসিক অবস্থার উপরেও প্রভাব পড়ে।
জাতীয় দলের গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলতো এই বন্দিজীবনকে জেলখানার সঙ্গেই তুলনা করে বসলেন।
শুক্রবার অনুশীলন শেষে এই ‘ঘরবন্দি’ নাকাল সময় কাটানো নিয়ে সোহেল বলেন, ‘আমরা আসছি ২৮ তারিখ। এখানে এসে দেখি হোটেল আর মাঠ ছাড়া কোথাও ঘুরতে দিচ্ছে না। কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ছিলাম। কিছুদিন ধরে সুইমিং করতাম। গত পাঁচদিন ধরে এটাও করতে পারছি না।’
মূলত নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতার চূড়ান্ত হওয়ার সময়ই দেশটিতে অবস্থানের ক্ষেত্রে বহিরাগত ফুটবলারদের জন্য কোভিড প্রটোকল হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে কাতার ফুটবল। প্রতিটি দলের জন্য একই নিয়ম আরোপ করেছে দেশটি।
এই অবস্থার মধ্যে ম্যাচগুলো আয়োজন করছে তারা। এমনকি ম্যাচের আগের দিন ভেন্যুতেও অনুশীলন করার সুযোগ রাখেনি কাতার।
অনুশীলনে বাংলাদেশের গোলকিপাররা
এতে ফুটবলারদের মনেও কিছুটা যে অবসাদ কাজ করছে তা সোহেলের কথায় স্পষ্ট, ‘মাইন্ড ফ্রেশের জন্য কোথাও যেতে পারছি না। হোটেলে থেকে অনুশীলন আবার জিম আবার হোটেলে। যেন ফাইফ স্টার হোটেলের জেলে আছি। আমার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে কখনও এমনটি দেখিনি।’
এর মধ্যে আগামী ১৫ জুন নিজেদের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। পুরো অবস্থা মানিয়ে নিয়ে ওমানের বিপক্ষে লড়াইয়ে কথা জানালেন এই গোলকিপার।
সোহেল বলেন, ‘এর মধ্যেও আমরা ওমান ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছি। এই পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।’