কাতারে বাংলাদেশের জন্য এশিয়ান কাপ ও বিশ্বকাপের যৌথ বাছাই পর্ব চলছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। গ্রুপের শীর্ষ দুই দলের সুযোগ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে যাওয়ার। বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল ওমানের পয়েন্ট ১২। তাদের কাছাকাছি যাওয়ারও সুযোগ নেই বাংলাদেশের।
তাই ভরসা ছিল টেবিলের তৃতীয় বা চতুর্থ হয়ে সরাসরি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার। ভারতের কাছে হেরে সেই সুযোগও প্রায় হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। সামনের ম্যাচে ওমানকে হারালেও প্লে-অফ খেলতে হতে পারে। তবে সেটা অংকের হিসেবে।
বাস্তবতা বলে, ওমান ঢের ঢের এগিয়ে লাল-সবুজদের থেকে। ড্র করলেও প্লে-অফ খেলেই মূল পর্বে যেতে হবে বাংলাদেশকে।
আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্স আপ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে উঠে যাবে। তবে এই ১২টি দল সরাসরি এশিয়ান কাপেও খেলবে। এশিয়ান কাপের বাকি ১২ দল নির্ধারণে হবে আরেকটি বাছাই পর্ব। যেখানে রানার্স আপ হওয়া বাকি চার দল, তৃতীয় হওয়া আট দল এবং সেরা চার চতুর্থ স্থান পাওয়া দল সরাসরি সুযোগ পাবে সেই বাছাই পর্বে।
সেই হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
পাঁচে থাকা দলগুলোকে প্লে-অফ খেলে এশিয়ান কাপের টিকিট জিততে হবে। গতবার গ্রুপে পঞ্চম হওয়া বাংলাদেশকে দুটি প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল। প্রথমটিতে হেরে ভুটানকে পায় লাল-সবুজরা। সেবার ভুটান বিপর্যয়ের পর দুই নির্বাসনে ছিল বাংলাদেশের ফুটবল।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে লজ্জ্বা দেয়া ভুটান খেলে এশিয়ান কাপের মূল বাছাই পর্ব। সেই বাছাইয়ে আরও ছয় ম্যাচ খেলে ভুটান।
মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে বাংলাদেশ
আরো একবার সেই পরিণতির পুনরাবৃত্তি নিশ্চিতভাবেই চাইবে না বাংলাদেশ।
জেমির দল যেভাবে আস্থা কুড়িয়েছে তাতে ভুটান বিপর্যয়ের মতো আরেকটি বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়তো হবে না বাংলাদেশকে। তবে, ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নাই।
ভারত এখন অতীত। ওমান ম্যাচকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। জেমির টার্গেট ওমান ম্যাচ। জেমি বলেন, ‘আমরা এখন ওমান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এই ম্যাচটা আরও কঠিন হতে চলেছে। ওরা কাতারের বিপক্ষে মাত্র এক গোলে হেরেছে। সো আমরা চেষ্টা করব সর্বাত্মকভাবে ওদের থামিয়ে রাখার।’
উল্লেখ্য, গত ৪১ বছরেও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা হয়নি বাংলাদেশের।