বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে ভারতকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। জমাটবদ্ধ রক্ষণ আর কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ কিছু সুযোগে ভারত শিবিরে আতঙ্কও ছড়িয়েছেন জামাল-তারিকরা। সেই সঙ্গে ভারতের মুহূর্মুহূ আক্রমণ রুখে দিয়ে গোলশূন্য প্রথমার্ধ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরপুর ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই দল। রক্ষণ সামলে দারুণ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছে জেমির বাহিনী।
ম্যাচের শুরু থেকে হাই প্রেসিংয়ে ভারতকে ব্যতিব্যস্ত রাখে বাংলাদেশ।
প্রথম সুযোগটা পায় বাংলাদেশই। নয় মিনিটের মাথায় রহমত মিয়ার লম্বা থ্রু থেকে রাকিবের হেডে বলটা পেয়ে যান তারিক কাজী। সেখানে থেকে বলটা সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেন তারিক।
ভারত আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ব্রেন্ডেন ফার্নান্দেজের থ্রু পাস থেকে ১৫ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ মানভির সিংয়ের আক্রমণ নস্যাৎ করে দেয় বাংলাদেশ। গোলকিপারের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান গোলের সুযোগ পান মানভির। জিকো মুভ করার জায়গা ছোট করে ফেললে সুযোগ হাতছাড়া হয় ভারতের।পাল্টা আক্রমণে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করতে থাকে বাংলাদেশও। ২৪ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে রাকিবের লম্বা ক্রস বিপলুর পায়ে যাওয়ার আগে বল গ্লাভসবন্দি করে বিপদমুক্ত করেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।
বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও ভারত
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পায় ভারত। কর্নার কিক থেকে ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা চিঙ্গেলসানা সিংহের হেড দারুণভাবে বারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে ভারতকে লিড নেয়ার সুযোগ ধ্বংস করে দেন রিয়াদুল হাসান রাফি।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। মতিন মিয়া থেকে বল পেয়ে ইব্রাহিম বাড়িয়ে দেন আবার মতিনের কাছেই। মতিনের কাছে বল আসার আগেই বিপদমুক্ত করে ভারতের রক্ষণ।
এরপর আরেকটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। ৪০ মিনিটে রহমত মিয়ার আরেকটা লম্বা থ্রো থেকে হেডে চিপ করার চেষ্টা করে তারিক। বলটা দারুণভাবে সেভ করে দেন গোলকিপার গুরপ্রিত।
বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও ভারত
প্রথমার্ধ শেষে কোনো দলই গোলের দেখা না পাওয়ায় গোলশূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় ম্যাচ।
বাংলাদেশ একাদশ:
গোলকিপার: আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মন, রিয়াদুল হাসান, রহমত মিয়া, তারিক কাজী। মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, মাসুক মিয়া, মানিক হোসেন মোল্লা। ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া।