বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে গোল করে দলকে ড্রয়ের স্বস্তি দিয়েছেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মন। ২০১৩ সালে অভিষেক হলেও এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে চার গোল করেছেন এই ডিফেন্ডার। তার সব গোলই এসেছে ম্যাচে বাংলাদেশের সংকট সময়ে। পরিসংখ্যান বলছে, তপু গোলে কখনও হারের মুখ দেখেনি লাল-সবুজরা।
এই সেন্টারব্যাক গোল করেছেন যেসব ম্যাচে তার মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়া বাকি তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
জাতীয় দলে ৮ বছরের ক্যারিয়ারে তপু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গোল করেছেন একটি ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি।
প্রথম গোলটি তপু করেন ২০১৫ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। ভারতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ভুটানের বিপক্ষে আট মিনিটে তপুর গোলে ম্যাচের লিড নেয় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ভুটান হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সাখাওয়াত রনি।
দ্বিতীয় গোলটিও ভুটানের বিপক্ষে। তিন বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে সাফ ফুটবলের প্রথম ম্যাচে তপুর গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। পরে সুফিলের গোলে ২-০ ব্যবধানে ভুটানকে হারিয়ে জয়ে মিশন শুরু করেছিল লাল-সবুজরা।
একই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি আসে তপুর কাছ থেকে। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গিয়ে তার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তপুর দুর্দান্ত গোলে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় পয়েন্ট পায় বাংলাদেশ।
এখনও ২৬ বছর বয়স এই সেন্টারব্যাকের। লাল-সবুজ জার্সিতে ৩৪ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন নারায়ণগঞ্জের এই ফুটবলার। ইতোমধ্যে সেন্টারব্যাক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে উঠে গেছেন তপু। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার কায়সার হামিদকে টপকে যাওয়ার রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে তার সামনে।
ছয় গোলে ডিফেন্ডার হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতা কায়সার হামিদ। তাকে স্পর্শ করতে আর মাত্র দুই গোল দূরে তপু।