আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জন্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কিছুটা আলাদা। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এই প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা। ডিয়েগোর স্মৃতিকে ধরে রাখতে ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে তার একটি ভাষ্কর্য উন্মোচন করা হয়।সান্তিয়াগো দেল এসতেরো শহরের এসতাদিও উনিকো মাদ্রে দে সিউদাদেস-এ ভাস্কর্য উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি, আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ও ম্যারাডোনার বন্ধু ক্লদিও তাপিয়া এবং পুরো আর্জেন্টিনা দল।
পাঁচ মিটার উচুঁ ম্যারাডোনার ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যটির পায়ে রয়েছে একটি ফুটবল। বেদিতে লেখা রয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনা (১৯৬০-২০১৯)।
চিলির সঙ্গে ম্যাচে আর্জেন্টিনা ম্যারাডোনার স্মৃতিতে বিশেষ একটি জার্সি তৈরি করে। যাতে জার্সি নম্বরের ওপরে লেখা ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনা (১৯৬০ টু ইনফিনিটি)। ফিফা এই বিশেষ জার্সিটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।তবে অধিনায়ক মেসি ম্যারাডোনার ছবি সংবলিত জার্সি পরে ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীতের জন্য দাঁড়ান। ম্যাচ শুরুর পর অবশ্য ছবি সরিয়ে ফেলেন তিনি।
ম্যাচের আগে ম্যারাডোনার ছবি সংবলিত একটি জার্সি গায়ে দেন লিওনেল মেসি। ছবি:এএফপি
১-১ ড্রয়ের ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, ‘বিশেষ একটা ম্যাচ ছিল কারণ ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর আমরা এই প্রথম মাঠে নামলাম। আমরা জানি জাতীয় দল ও এই জার্সি তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
গত বছরের ২৫ নভেম্বর মারা যান আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক ম্যারাডোনা। মস্তিষ্কের সফল অস্ত্রোপচার শেষে বুয়েনোস আইরেসের একটি হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ৬০ বছর বয়সী ফুটবল ঈশ্বরের।
আর্জেন্টিনার হয়ে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা জিতেছেন যুব বিশ্বকাপ, ফিফা বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা। ৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর চার বছর পর ১৯৯০ বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে।
অবসরের পর জাতীয় দলের কোচ হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। পরের বছর তার উত্তরসূরি লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি তাদের।