কাতারের মাঠে আফগানিস্তানকে রুখে দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এক গোলের ধাক্কা সামলে ম্যাচের শেষদিকে তপুর দুর্দান্ত গোলে ড্র করে লাল-সবুজরা। দলে ফেরে স্বস্তি।
পুরো ম্যাচে কিছু সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফল অন্যরকম হতে পারত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৫ ধাপ ওপরে থাকা আফগানদের বিপক্ষে কেমন অ্যাপ্রোচ নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ? ম্যাচটি যারা দেখেছেন তাদের জন্য প্রশ্নের উত্তরটা সহজ। রক্ষণ সামলে কাউন্টার অ্যাটাকের পরিকল্পনা ছিল জেমি ডের।
লাল-সবুজ জার্সিতে আফগানদের বিপক্ষে সমতায় ফেরা একমাত্র গোলটি যার পা থেকে এসেছিল সেই তপু বর্মন মনে করেন, পজিটিভ মানসিকতাতেই খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র নয় বরং জয়ের জন্য নেমেছিল র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪তম অবস্থানে থাকা জামাল-তপুরা।
তপু বলেন, ‘প্রথমত আমরা সবাই ম্যাচটা জেতার জন্য চেষ্টা করেছি। জিততে পারি নাই। ম্যাচ ড্র করেছি। এই রেজাল্টে সবাই খুশি। কোচিং স্টাফরাও খুশি হয়েছে। কারণ আমাদের অ্যাপ্রোচ মাঠে খুব পজিটিভ ছিল।
আগামী ৭ জুন ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আফগান ম্যাচের ফল ভারত ম্যাচে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন এই ডিফেন্ডার।
তিনি বলেন, ‘আশা করি সামনের ম্যাচটাও ভালো করব। এই ম্যাচটা অনেক উৎসাহ দেবে। আশা করি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা আমার ভালো খেলব। জেতার জন্য মাঠে নামব।’
একই দিনে কাতারের কাছে এক গোলে হেরেছে ভারত। অতিথিদের গোলবারে ৩৮টি শট নিয়েছে স্বাগতিক কাতার। ১৭ মিনিটে লাল কার্ড খেয়ে ১০ জনে পরিণত হওয়া ভারত শেষ পর্যন্ত এক গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়।
এই ভারতের সঙ্গে তিন দিন পর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দলীয় পারফর্ম করে জেতার জন্য মাঠে নামার প্রতিশ্রুতি তপুর, ‘সব সময় একটা কথা বলি, সবাই আমরা টিম হয়ে খেলব। আজকে সেটার একটা প্রমাণ দেখিয়েছি। ভারতের ম্যাচেও সেটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।’