বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। অনুশীলন মাঠ, হোটেল, প্রস্তুতি ম্যাচের বিপক্ষ দল সবকিছু চূড়ান্ত থাকার পরেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যাওয়া হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। এ নিয়ে হতাশার ছবি উঠে এসেছে জাতীয় ফুটবলারদের।
তাই সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ কেন বাতিল করতে হলো সৌদি ভ্রমণ?
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌদি ভ্রমণ বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
২৩ মে সৌদি যাওয়ার জন্য ঢাকা ত্যাগের কথা ছিল বাংলাদেশের। সেখানে একটি বা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল জাতীয় দলের। দেশটির দাম্মাম শহর থেকেই কাতারে রওনা দেয়ার কথা ছিল জামাল-তপুদের।
সৌদি ভ্রমণ বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করে সোহাগ বলেন, ‘আমাদের সবকিছু চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার কভিড-১৯ এর প্রটোকলে নতুন কোয়ারেন্টিন নিয়ম চালু করে সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে যেকেউ দেশটিতে গেলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব পালন করতে হবে। এ নিয়ে সৌদি সরকার ২২ মে আমাদের বিষয়টি লিখিত জানায়। পরে আমাদের ট্যুরটা বাতিল করতে হয়।’
গত ২৫ মে রাতে বাংলাদেশ দলের জন্য কোয়ারেন্টিন পর্বের বিধির শিথিলতা আনে সৌদি আরব। বাফুফের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা এই সময়ে যেতে পারবে কি না। ততক্ষণে নতুন করে ভ্রমণের জটিলতা থাকায় ট্যুর বাতিল করতে হয় বলে দাবি করেন সোহাগ।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের অফিসিয়ালদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ দেখান তিনি। বলেন, ‘রাতে আমাদের জানানো হয় যে কোয়ারেন্টিন পর্ব শিথিল করা হয়েছে। ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। তাই প্ল্যান চেঞ্জ করে ঢাকায় ফুটবলারদের অনুশীলন করানোর সিদ্ধান্ত নিই।’
ইতিমধ্যে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের হেভিওয়েট দল শেখ জামালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটি আয়োজন করা হবে।
সবমিলে প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে কি না জানতে চাইলে বাফুফের সিনিয়র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখিনি। সৌদির পরিকল্পনা করা হয়েছিল যাওয়ার আরও ১০ দিন আগে থেকে। ওখানে একটি জাতীয় দলের সঙ্গেই খেলার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত হয়ে ওঠেনি।’