চার মৌসুমের শিরোপা খরা দূর করার সুযোগ পাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট জিততে নিজের তরুণ দলের উপর ভরসা রাখছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার শোলস্কায়ার।তাদের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়ালের মৌসুমটা ভালো যায়নি। লা লিগায় সাত নম্বর অবস্থানে থেকে শেষ করেছে ক্লাবটি। তবে ইউরোপা ফাইনালে তাদের ভরসা যোগাচ্ছে টুর্নামেন্টের স্পেশালিস্ট কোচ উনাই এমেরি। সেভিয়ার হয়ে তিনবার ইউরোপার ট্রফি জিতেছেন তিনি।তারপরও মার্কাস র্যাশফোর্ড, অ্যান্থনি মার্সিয়াল, মেসন গ্রিনউডদের মতো তরুণদের ওপর ভরসা রাখছেন শোলস্কায়ার। এই শিরোপা জয় করে ক্লাব নতুন যুগে যাত্রা করবে এমনটা উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেড বস বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ একটা রাত আমাদের জন্য। ভবিষ্যতে আরও ভালো কোনো কিছুর জন্য এটা একটা মঞ্চ হতে পারে। আমাদের দলটা তরুণ যার কারণে একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা আছে। দুই বছর ধরে আমরা দলটা তৈরি করছি। আশা করছি এই ম্যাচ দিয়ে বড় কিছুর যাত্রা শুরু হবে।’বড় ম্যাচে শোলস্কায়ার পাচ্ছেন না অধিনায়ক ও সেরা ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ারকে। তার জায়গায় ভিয়ারিয়ালের সাবেক ডিফেন্ডার এরিক বেইলি খেলতে পারেন। কে খেলছে সেটা নিয়ে চিন্তিত নন শোলস্কায়ার। এই নরওয়েজিয়ান ট্যাকটিশিয়ানের মতে ইউনাইটেডের সব খেলোয়াড়ই যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে অভ্যস্ত।‘ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে যখন খেলোয়াড়রা সই করেন তারা ট্রফি জিততে চান। তারা সেরা হওয়ার চ্যালেঞ্জটা নেয়, কারণ এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব। এটাই ইউনাইটেডের খেলার চাপের আনন্দ। কালকেই আমাদের মৌসুম কেমন গেছে সেটা বোঝা যাবে। জিতলেই আমরা খুশি মনে বাড়ি ফিরতে পারব।’এই বছর দুই নম্বরে থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে ইউনাইটেড। এ নিয়ে টানা দুই বছর শীর্ষ তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে তারা। যা ২০১৩ সালের পর প্রথমবার ঘটেছে।
ভিয়ারিয়ালের কোচ এমেরি দুই বছর পর ফিরছেন ইউরোপার ফাইনালে। সেবার আর্সেনালের কোচ হিসেবে চেলসির কাছে শিরোপা খোয়াতে হয় তাকে। সে নিয়ে অবশ্য তার কোনো আক্ষেপ নেই বা নেই ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে প্রতিশোধের কোনো সুপ্ত বাসনা।‘আমার মাথায় প্রতিশোধের কোনো চিন্তা নেই। আমার চেষ্টা থাকবে ভিয়ারিয়াল যেন সেরাটা অর্জন করতে পারে। এটা দারুণ একটা ক্লাব।’ভিয়ারিয়ালের প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান ফাইনাল এটি। খেলোয়াড়দের কাছে যা এতদিন স্বপ্ন ছিল সেটি সবার নাগালের মধ্যে, এমনটা জানান ভিয়ারিয়ালের ডিফেন্ডার পাউ তোরেস।‘আমার ও দলের অধিকাংশের জন্যই এটা প্রথম কোনো ইউরপিয়ান ফাইনাল ও ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। আমরা সবাই চেষ্টা করব ম্যাচটা উপভোগ করতে।’পোল্যান্ডের জিদানস্কে হবে ম্যাচটি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চার ভাগের একভাগ প্রায় ১০ হাজার দর্শক উপভোগ করতে পারবেন এই ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে শিরোপা লড়াই।