বিদ্রোহী সুপার লিগের পরিকল্পনা ও অন্য ক্লাবকে যোগ দিতে প্ররোচনার কারণে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তাসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফা।সুপার লিগে অংশ নেয়া ১২টি ক্লাবের মধ্যে ৯টি নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিলেও এই তিন ক্লাব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করেনি। রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস সুপার লিগেরও চেয়ারম্যান।মূলত এই বিদ্রোহী লিগ তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানান ক্লাবের সদস্যরা না চাইলে তারা সুপার লিগে খেলবে না। আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও তারা লিগের সঙ্গে জড়িত। আর ইউভেন্তাসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেলিও আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্লাবের নাম প্রত্যাহার করে নেননি। আগনেলি সুপার লিগের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউয়েফা মে মাসের শুরুতে জানায় তারা তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায় তদন্ত শুরু হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তথাকথিত সুপার লিগের সঙ্গে ক্লাবগুলোর সম্পৃক্ততা নিয়ে ইউয়েফার শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির পরিদর্শকদের তদন্তের সাপেক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তাসের বিরুদ্ধে ভঙ্গের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
শুরু থেকেই বিদ্রোহী ক্লাবগুলোকে শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ফুটবলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ইউয়েফা ৮ মে ছয় ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা করে। বাকি তিন ক্লাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বলে ঘোষণা দেয়।ইউয়েফার এমন আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেছে রিয়াল, বার্সা ও ইউভে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায় সুপার লিগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই চাপে রয়েছে তারা।তিন ক্লাবের দাবি, সুপার লিগের বৈধতা নিয়ে আদালতে যতক্ষণ পর্যন্ত সমাধান না হচ্ছে ততক্ষণ ইউয়েফা জড়িত ক্লাবগুলোর বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না।গত ১৮ এপ্রিল রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ইউয়েফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় তিন দেশের ১২টি শীর্ষ ক্লাব।ভক্ত-সমর্থক, সাবেক তারকা ও রাষ্ট্রপ্রধানদের তীব্র সমালোচনার মুখে তিন দিনের মধ্যেই সুপার লিগের জোট থেকে সরে আসে ৯ ক্লাব। স্থগিত করা হয় সুপার লিগের পরিকল্পনা।