কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মিশন শুরুর আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে জাতীয় দলের যাওয়ার কথা ছিল সৌদি আরব। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ শিথিল না করায় যেতে পারেনি বাংলাদেশ।মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়ায় অনুশীলনের বাড়তি সুবিধা ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারায় নাখোশ পুরো স্কোয়াড। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অনুশীলনের ফাঁকে নিজের হতাশা লুকাননি সংবাদমাধ্যমের কাছে।‘সৌদি আরবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। ম্যাচ খেললে বোঝা যেত কী কী দুর্বলতা আছে। দুই বছর আগে ভুটানের সঙ্গে দুইটা ম্যাচ খেলার পর আমরা কাতার ও ভারতের সঙ্গে খেলেছি। আর এবারে মাত্র একমাস অনুশীলনের সময় পেয়েছি। আমাদের কিছু করার নেই আসলে। খেলোয়াড়রা আয়োজক নন।’গ্রুপে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। দল দুটি এরই মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলে ফেলেছে। বাংলাদেশের বাছাইপর্ব পরিকল্পনায় ঘাটতি দেখছেন অধিনায়ক।‘আফগানিস্তান ও ভারত অনেক আগে থেকে অনুশীলন করছে। দুই দলই প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছে। অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছে। সেদিক থেকে আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না।’সৌদি আরবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারায় দেশের মাটিতেই জাতীয় দলের জন্য ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টায় রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাছাইপর্বের উদ্দেশে কাতার যাওয়ার আগে অনুশীলন ম্যাচ দলের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে মনে করেন জামাল।‘যে কোনো অনুশীলন ম্যাচ খেললে ভালো। নতুন খেলোয়াড় এসেছে দলে। তাদের সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পরখ করে নেয়া যায়।’
হেড কোচ জেমি ডের অধীনে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: বাফুফে
মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদও একমত অধিনায়কের সঙ্গে। অনুশীলন ম্যাচ ছাড়া দলের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ঠিক করা যাবে না অভিমত তার।‘আজ ফর্মেশন ও অ্যাটাক নিয়ে কাজ করেছেন কোচ। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সকালে যখন জানতে পারি যাচ্ছি না তখন সবাই আপসেট হয়েছে। তবে আমাদের বলা হয়েছে ২৭ তারিখ একটা ম্যাচ এখানেই আয়োজন করা হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনুশীলন ম্যাচতো খেলতেই হবে।’কাতারের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৩ জুন বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের সঙ্গে। ৭ জুন ভারতের সঙ্গে ও টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৫ জুন বাংলাদেশ লড়বে ওমানের বিপক্ষে।