টটেনহ্যাম হটস্পারের ফরোয়ার্ড হিউং-মিং সনকে অনলাইনে হেনস্তা করায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।২৮ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সনের বিপক্ষে টুইটারে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো ও হেনস্তা শুরু হয় ১১ এপ্রিলের পর থেকে।
ওই দিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় টটেনহ্যাম।ম্যাচের পর আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায় লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।‘অনলাইনে জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অনলাইনে নির্দিষ্ট কিছু আচরণ, শব্দ ও লেখা প্রকাশ করার জন্য আমরা ১২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি।’১১ এপ্রিলের ওই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একটি গোল বাতিল হওয়ার পর দলটির ভক্ত ও সমর্থকদের রোষের শিকার হন সন। এরপর শুরু হয় অনলাইনে হেনস্তা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের বিশেষ একটি অনলাইন রিপোর্টিং টুল ব্যবহার করে খুঁজে বের করা হয় হেনস্তাকারীদের; রিপোর্ট করা হয় পুলিশের কাছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেক্টিভ সার্জেন্ট ম্যাট সিম্পসন বলেন, ‘সময়সাপেক্ষ পুলিশি প্রক্রিয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা হয়। এতে করে আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, কোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ, সেটা অনলাইনেই হোক না কেন, পুলিশ সহ্য করবে না। টুইটারে তারা যে পোস্টগুলো দিয়েছিল সেগুলো পুরোপুরি অশ্লীল ও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’অনলাইনে নিপীড়ন, বিদ্বেষ, বুলিং ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর ধরেই সোচ্চার ফুটবল তারকারা। অনলাইন হেনস্তার প্রতিবাদের ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত চার দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ রাখে ইংলিশ ফুটবলের সবগুলো ক্লাব।১ মে তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। অনলাইন হেনস্তার প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ছয়বারের ব্যলন ডর জয়ী।
ধর্ম, বর্ণ, গোত্র কিংবা লিঙ্গ নির্বিশেষে কারোরই দুর্ব্যবহার প্রাপ্য নয় উল্লেখ করে মেসি একটি পোস্টও দেন ইনস্টাগ্রামে।ব্রিটিশ সরকারও চেষ্টা করছে অনলাইন হেনস্তা কমানোর। নজরদারি বাড়িয়েছে অনলাইনে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার হলেন সনকে হেনস্তা করা আট ব্যক্তি।