আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা মৃত্যুবরণ করেন গত বছরের ২৫ নভেম্বর। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করা এ কিংবদন্তির মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে জানা গিয়েছে, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার চিকিৎসায় ছিল অবহেলা। তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল একটি দীর্ঘ, কষ্টকর মৃত্যুর জন্য।
আর এতেই ৭ জনের বিপক্ষে নরহত্যার মামলা করা হয়েছে, যার মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার নিউরোসার্জন লিওপলদো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগুস্তিনা কোসাকভ ও মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াজ। এই তিন জন এখন ৮ থেকে ২৫ বছরের জন্য জেল খাটার সামনে দাঁড়িয়ে।
এএফপিকে বুধবার সান ইসিদ্রোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এক দল বিশেষজ্ঞ ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের পর তার পরিচর্যায় গাফিলতি খুঁজে পান।
অভিযুক্তদের দেশ ছাড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং তাদের ৩১ মে থেকে ১৪ জুনের মধ্যে তদন্ত করা হবে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাকে যথেষ্ট চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি, এমনটি নয়। বরং, চিকিৎসকরা তার মৃত্যু হতে পারে, সেটি আটকানোর কোনো প্রচেষ্টা চালাননি।
বিভিন্ন অডিও রেকর্ডিং ও মেসেজ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ম্যারাডোনা তার জীবনের শেষ কয়েকটি মাসে মদ্যপান, মারিজুয়ানা এবং অন্যান্য সাইকিয়াট্রিক ড্রাগ ব্যবহার করেছেন এবং সেটি তার চিকিৎসকদের জানা ছিল।
রিপোর্টের উপসংহারে তদন্তকারীরা জানায়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর সম্ভাবনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি এবং তার জীবনের শেষ সপ্তাহগুলোতে তার যত্নে দেখা দিয়েছিল ঘাটতি।
ম্যারাডোনার মৃত্যু ছাড়াও আরেকটি মামলা চলছে তার উত্তরাধিকারীদের নিয়ে।