১২ বছর পর টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়তে চান হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক এরই মধ্যে ক্লাবকে তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্কাই স্পোর্টস।স্পার্সের হয়ে ১২ বছর খেললেও বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি কেইন। চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলেছেন নিয়মিত। কিন্তু চলতি মৌসুমে স্পার্সের বাজে ফর্মের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেটিও।টটেনহ্যাম হটস্পার এই মৌসুমে আছে টেবিলের ছয় নম্বরে। চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে হলে তাদের লিগের শেষ দুই ম্যাচ জিতলেই হবে না। আশায় থাকতে হবে প্রতিপক্ষের পয়েন্ট খোয়ানোর।দলীয় শিরোপা জিততে চান কেইন। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত। নিজের লক্ষ্যটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।‘ব্যক্তিগত পুরষ্কার পাওয়াটা দারুণ। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। ক্যারিয়ার শেষে যখন আমি ফিরে তাকাব তখন হয়তো আমি আরেকটু বেশি চাইব। এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য হচ্ছে দলীয় শিরোপা জেতা।’
এই কারণেই ইংলিশ এই স্ট্রাইকার ক্লাবকে জানিয়েছেন ২০২০ ইউরো শুরুর আগেই তিনি তার ভাগ্য নির্ধারণ করতে চান। ২০২০ সালের ইউরো কোভিড মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর, এই বছরের ১১ জুন শুরু হচ্ছে।
টটেনহ্যামের সঙ্গে কেইনের চুক্তি শেষ হতে এখনও তিন বছর বাকি। যে কারণে এই মৌসুমে ক্লাব ছাড়াটা মুশকিল হতে পারে ২৭ বছর বয়সী এই তারকার।
কেইনকে দলে টানার মতো ক্লাবের অভাব নেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। গত কয়েক মৌসুম যাবৎ ইংল্যান্ডের সেরা স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়াতে মরিয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কেইনকে পেতে তারা যেকোনো মূল্য পরিশোধ করতে রাজি।
কেইনকে নেয়ার তালিকায় আরও আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। সিটির ইতিহাসের সেরা গোলদাতা ও এক দশকের মূল স্ট্রাইকার সার্হিও আগুয়েরো মৌসুমে শেষে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। ফলে, নাম্বার নাইন পজিশনে নতুন কাউকে চাই সিটিজেনদের।
চেলসিরও রয়েছে একজন পূর্ণাঙ্গ নাম্বার নাইনের অভাব। তাই কেইনের ঘোষণার পর তাকে নিয়ে ত্রিমুখী লড়াই শুরু হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
ইংল্যান্ডের বাইরে কেইনের দিকে তাকিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। কারিম বেনজেমার উত্তরসূরি খুঁজছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর পিএসজির দায়িত্বে আছেন সাবে টটেনহ্যাম ম্যানেজার মরিসিও পচেত্তিনো। যার সঙ্গে কেইনের সম্পর্কটা দারুণ।
টটেনহ্যামের হয়ে ১২ মৌসুমে ৩৩৪ ম্যাচে ২২০ গোল করেছেন কেইন। এই ১২ বছরে কোনো বড় ট্রফি জেতেনি স্পার্স। ২০০৮ সালে লিগ কাপ শিরোপাই তাদের জেতা সর্বশেষ টুর্নামেন্ট।
এই মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের পর ক্লাবটি বরখাস্ত করে ম্যানেজার জোসে মরিনিওকে। তারপর দায়িত্ব নেন কেয়ারটেকার ম্যানেজার রায়ান মেসন। সব মিলিয়ে ক্লাব খুব একটা স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। যার কারণে ক্লাব ছাড়তে চাচ্ছেন কেইন।