মৌসুমটা যাচ্ছেতাই গেছে লিভারপুলের। গতবারের ঐতিহাসিক প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পর এই বছর বাজে ফর্ম ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের। এতটাই খারাপ অবস্থা যে সামনের মৌসুমে তাদের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।লিগের বাকি চার রাউন্ড। এর চার রাউন্ডে চার ম্যাচ জিতলে শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারবে এমনটা আশা করছেন ক্লপ। সাউদ্যাম্পটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে আছে লিভারপুল। স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লপ জানান পরের ম্যাচগুলোও জিততে চান। তবে কাজটা সহজ হবে না।“আমার মনে হয় পরের চার ম্যাচ জেতাটাই যথেষ্ট হবে। এখানে অবশ্য বড় একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলব। তাদের মঙ্গলবারও ম্যাচ রয়েছে। তাদের স্কোয়াডটা বড় দেখে দলে পরিবর্তন আনতে পারবে। আমরা জিতে গেলে চাপটা বজায় থাকবে।”ইউনাইটেডের পরের তিন ম্যাচে বার্নলি, ওয়েস্টব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। ক্লপ জানেন তাদের যেমন শীর্ষ চারে থাকার লক্ষ্য তেমনি বার্নলি ও ওয়েস্টব্রমের লক্ষ্যে রেলিগেশন যুদ্ধ এড়ানো।‘ওয়েস্টব্রম যুদ্ধ করছে (লিগে টিকে থাকার)। বার্নলিও তাই। সবগুলো দলেরই নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। লক্ষ্য না থাকলে কোনো দলই স্বাধীনভাবে খেলতে পারে না। যেটা মোটেও ভাল বিষয় নয়।’ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ লিগের শেষ দুই রাউন্ডে আংশিক দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে স্টেডিয়ামগুলোতে। ক্লপ উচ্ছ্বসিত এই খবরে। ফ্যানরা বাড়তি শক্তি যোগায় মাঠে এমনটা মানছেন এই জার্মান ট্যাকটিশিয়ান।‘তাদের ছাড়া এই সময়টা খুব কঠিন। তাদের কারণেই আমরা মাঠে যেয়ে ফুটবল খেলি। যখন আমি খেলোয়াড় ছিলাম কেউ আমার খেলা দেখতে আসত না। যখন ম্যানেজার হলাম তখন পরিস্থিতি পালটালো ও স্টেডিয়ামগুলো পরিপূর্ণ পেলাম। আসল বিষয়টা হচ্ছে একসঙ্গে ফুটবল উপভোগ করা। আশা করি সামনের মৌসুমে স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শক আসবেন।’৩৪ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে থাকা লিভারপুলের উপরে আছে ওয়েস্ট হ্যাম ও লেস্টার সিটি। চারে থাকা লেস্টারের ঝুলিতে ৬৩ পয়েন্ট। তারা ম্যাচ খেলেছে ৩৫টি। আর পাঁচে থাকা ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট ৫৬।