শনিবার সুপারলিগের নয় ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা করার ঘোষণা দেয় ইউয়েফা। ইংল্যান্ডের ছয়টি, ইতালির দুইটি ও স্পেনের একটি ক্লাব মেনে নেয় ইউয়েফার সেই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সুপারলিগের প্রতিষ্ঠাতা ১২ ক্লাবের বাকি তিন ক্লাবকে বড় ধরনের শাস্তিস আভাস দেয় ইউয়েফা।এক বিবৃতিতে ইউয়েফার সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন বলেন, ‘সুপার লিগে টিকে থাকা বাকি ক্লাবগুলোকে নিয়ে একই কথা বলা যাচ্ছে না। ইউয়েফা পরবর্তী সময়ে ক্লাবগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’এখানে সভাপতি পরিষ্কার ভাবেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তাসের প্রতি। রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তাস সুপার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়নি। আর বার্সেলোনা জানায়, তাদের সদস্যরা না চাইলে সুপার লিগে তারা খেলবে না। আনুষ্ঠানিকভাবে তারাও নাম প্রত্যাহার করেনি।শুরু থেকেই বিদ্রোহী ক্লাবগুলোকে শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। ইউয়েফা শনিবার ছয় ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা করে। বাকি তিন ক্লাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বলে ঘোষণা দেয়।ইউয়েফার এমন আচরণের তীব্র বিরোধীতা করেছে রিয়াল, বার্সা ও ইউভে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায় সুপারলিগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই চাপে রয়েছে তারা।‘প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলিকে সংঘর্ষ করতে হয়েছে, এখনও চলছে সংঘর্ষ। প্রজেক্ট ছাড়তে ও গঠনমূলক আলোচনা ও শক্ত প্রস্তাবনার মাধ্যমে ফুটবল ইকোসিস্টেমের সমস্যা সমাধানে ক্লাবগুলো অধিকার ও দায়িত্ব থেকে সরে আসতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে চাপ ও হুমকি পেতে হয়েছে।’তিন ক্লাবের দাবি, সুপারলিগের বৈধতা নিয়ে আদালতে যতক্ষণ পর্যন্ত সমাধান না হচ্ছে ততক্ষণ ইউয়েফা জড়িত ক্লাবগুলোর বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না।‘আদালতে সুপারলিগ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন ক্লাবগুলোর বিপক্ষে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ফিফা, ইউয়েফা ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোকে আদালত নিষেধ করার পরও এমন পরিস্থিতি মেনে নেয়ার মতো না।’
বার্সা, রিয়াল ও ইউভে বিশ্বাস করে এখনও আরা ইউরোপিয়ান ফুটবলের সার্বিক উন্নতির জন্য তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সক্ষম।‘সুপার লিগের ঘোষণা দেয়া সময় আমরা যেমনটা বলেছিলাম, তেমনটা ফিফা, ইউয়েফা ও সহযোগী সংস্থাগুলোকে আবারও বলতে চাই। আইনের মধ্যে থেকে ও কোনো প্রকার চাপ ছাড়া, সম্মানের সঙ্গে পুরো ফুটবল পরিবারের স্থিতিশীলতার জন্য সমাধানগুলো আমরা আলোচনা করতে চাই।’গত ১৮ এপ্রিল রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ইউয়েফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় তিন দেশের ১২টি শীর্ষ ক্লাব।তবে, ভক্ত-সমর্থক, সাবেক তারকা ও রাষ্ট্রপ্রধানদের তীব্র সমালোচনার মুখে তিন দিনের মধ্যেই সুপার লিগের জোট থেকে সরে আসে ৯ ক্লাব। স্থগিত করা হয় সুপার লিগের পরিকল্পনা।