বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ১৩ ক্লাবের স্থানীয় ফুটবলারদের ফিটনেসে ঘাটতি পূরণ ও স্ট্যামিনা বাড়াতে ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন জাতীয় দলের ফিটনেস কোচ ইভান রাজলোক।
এরই মধ্যে ঢাকা আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল ও রহমতগঞ্জ ক্লাব পরিদর্শন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ।
ক্লাবদের সঙ্গে নিজের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশের ফুটবলারদের ফিটনেস উন্নয়নে কাজ করবেন ইভান। এমন উদ্যোগ নিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনুশীলনের মাধ্যমে ফিটনেস জোরদার করতে ক্লাবগুলো, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
এ নিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবকে চিঠি দেয় ফেডারেশন। ১ মে থেকে শুরু হয় কার্যক্রম।
ক্লাবে ক্লাবে গিয়ে দলের ম্যানেজার, প্রধান কোচ, সহকারী কোচ, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, ফিটনেস কোচ ও খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনায় বসেন জাতীয় দলের এই ফিটনেস কোচ। খেলোয়াড়দের ফিটনেস বৃদ্ধি ও অনুশীলনে শারীরিক দক্ষতা বাড়াতে আরও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করবেন ইভান রাজলোক।
ঢাকা আবাহনীর কোচদের সঙ্গে আলোচনায় ইভান রাজলোক। ছবি:বাফুফে
বাফুফের সঙ্গে সম্পৃক্ত গ্লোবাল পারফরম্যান্স ইনটেলিজেন্স কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন এই ফিটনেস কোচ। ক্লাবের অধীনে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়সহ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের তথ্য আদান-প্রদান করে ঘাটতি পূরণসহ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবেন ইভান।
লিগের ম্যাচে নিয়মিত স্টেডিয়ামে বসে খেলোয়াড়দের ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তার সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্লোবাল পারফরম্যান্স কোম্পানির কাছে। তাদের পাঠানো ফিডব্যাকের পর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ক্লাবদের তাগিদ দেয়া হবে ফেডারেশন থেকে।
এতে জাতীয় দল গড়ার ক্ষেত্রেও উপকৃত হবে ফেডারেশন। একই ক্ষেত্রে দেশের ফুটবলারদের ফিটনেসে উন্নতি জায়গায় একটা নির্দেশনা পাচ্ছে ক্লাবগুলো। পর্যায়ক্রমে লিগের প্রতিটি ক্লাব পরিদর্শন করবেন রাজলোক।