রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র করে ফেরে চেলসি। সঙ্গে নিয়ে আসে একটি মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল। চেলসির মাঠে দ্বিতীয় লেগে তাই জয় ছাড়া কোনো উপায় ছিল না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। সেটি করতে পারেনি তারা। উলটো জুটল হারের তেতো স্বাদ।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি।
২-০ ব্যবধানে জয় পেলেও, সেটি সহজেই ৫-০ হতে পারত চেলসির জন্য। টমাস টুখেলের শিষ্যরা সুযোগ নষ্ট করেছেন একের পর এক। সঙ্গে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোঁতোয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে রিয়ালের পায়ে বল থাকলেও কাউন্টার অ্যাটাকে বেশি ভয়ংকর ছিল চেলসি। ১৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বেন চিলওয়েলের ক্রস থেকে রিয়ালের জালে বল জড়িয়েছিলেন টিমো ভের্নার। কিন্তু অফসাইডে কাটা পড়ে তা।
২৬ মিনিটে গোল করতে পারতেন কারিম বেনজেমা। তার বাঁকানো শট ফিরিয়ে দেন চেলসি গোলকিপার এডুয়ার্ডো মেন্ডি।
ঠিক তার মিনিট দুয়েক পরেই চেলসিকে এগিয়ে নেন ভের্নার। এনগোলো কান্তের পাস থেকে কাই হাভের্টসের শট ফিরে আসে বারে লেগে। গোল থেকে এক গজ দূরে থাকা ভের্নার ফাঁকা জালে বল জড়াতে ভুল করেননি।
গোল খাওয়ার পর মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ। রক্ষণভাগের দিকে মনোযোগ হারায়। তাতে একের পর এক কাউন্টার অ্যাটাক সাজায় চেলসি। বারবার গোল মিসে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।
৩৬ মিনিটে গোলের খুব কাছে আসে রিয়াল। কিন্তু বেনজেমার হেড দারুণ এক সেইভ করেন চেলসি গোলকিপার মেন্ডি।
প্রথমার্ধ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে থাকে চেলসি। আর রিয়ালের আক্রমণ ছিল নখদন্তহীন।
বিরতির পরপরই ৪৮ মিনিটে সিজার আসপিলিকুয়েতার ক্রস থেকে হাভের্টসের হেড ফিরে আসে বারে লেগে। মিনিট চারেক পরেই থিয়াগো সিলভার হেড চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
পরের মিনিটে আবারও সুযোগ পায় চেলসি। ভের্নারের পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন মেসন মাউন্ট। সেটিও উড়ে যায় বারের ওপর দিয়ে।
৫৯ মিনিটে রিয়াল গোলকিপার কোঁতোয়াকে একা পেয়েও কিছু করতে পারেননি হাভের্টস। রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার ফিরিয়ে দেন তার শট।
সাত মিনিট পরে আবারও কাউন্টার অ্যাটাকে কোঁতোয়াকে একা পায় চেলসি। বল পায়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কান্তে। তার শট ফিরিয়ে দিয়ে রিয়ালকে ম্যাচে রাখেন কোঁতোয়া।
৭৭ মিনিটে প্রথম লেগে গোল করা ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের ক্রসে কেউ পা না ছোঁয়াতে পারলে আবারও ব্যর্থ হয় চেলসি।
সেই পুলিসিকের হাত ধরেই দ্বিতীয় গোল পায় চেলসি। ৮৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে রিয়ালের বক্সে ঢুকে নিখুঁত এক ক্রস করেন এই আমেরিকান। সেখান থেকে গোল করে চেলসির ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করেন মাউন্ট।
এই জয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছলেন চেলসি কোচ টুখেল। গত মৌসুমে নিয়ে গিয়েছিলেন পিএসজিকে। এবার চেলসি।
২৯ মে ইস্তানবুলের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে চেলসি। ২০১৯ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব।