লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রইল বার্সেলোনা। রোববার রাতে পিছিয়ে পড়ার পরও ভালেনসিয়াকে হারায় কাতালান ক্লাবটি।
বার্সেলোনার ৩-২ গোলের জয়ে মেসি করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি এসেছে আঁতোয়া গ্রিজমানের পা থেকে।ভালেনসিয়ার মাঠে প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল। ১৩ মিনিটে বার্সার রোনাল্ড আরাউহো কাছাকাছি এসেছিলেন কিন্তু ভালেনসিয়া গোলকিপার ইয়াসপার সিলেসেনকে পরাস্ত করতে পারেননি।বিরতির পরপরই আসে ম্যাচের প্রথম গোল। কার্লোস সোলারের নেয়া কর্নার কিক বার্সেলোনার বক্সে খুঁজে নেন গাব্রিয়েল পলিস্তাকে। নিঁখুত হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেনসিয়ার ডিফেন্ডার।কর্নার কিকের পর বার্সা গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে ফাউল করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্য চান। ভিএআরে দেখা যায় ফাউল হয়নি। ভালেনসিয়া এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।এর মিনিট পাঁচেক পর বার্সা সুবর্ণ সুযোগ পায় ম্যাচে ফেরার। ভালেনসিয়া ডিফেন্ডার টনি লাতো হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি।স্পট থেকে শট মিস করেন মেসি। সিলেসেন বল সেভ করলে সেটি গিয়ে পড়ে সার্হিও বুসকেতসের পায়ে। তার শট ভালেনসিয়ার ডিফেন্স লাইনে লেগে আবারও ফেরত আসে। এবারে রিবাউন্ড পান পেদ্রি। তার শট গোললাইন থেকে রক্ষা করেন গাব্রিয়েল। বল প্রতিহত হয়ে পড়ে একেবারে কাছে দাঁড়ানো মেসির পায়ে। এবার আর ভুল করেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। জোরালো শটে ১-১ সমতা ফেরান ম্যাচে।৬৩ মিনিটে লিড নিয়ে নেয় সফরকারী দল। বাঁ প্রান্ত থেকে হোর্দি আলবার ক্রসে বক্সের ভেতরে হেড করেন ডি ইয়ং। তার হেড সিলেসেন প্রতিহত করলে সেটি পেয়ে যান গ্রিজমান। তার গোলেই ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১।মিনিট পাঁচেক পর আবারও গোলের দেখা পায় বার্সা। ভালেনসিয়ার বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেন সোলের ও ডানিয়েল ওয়াস। রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন।দারুণ শটে সিলেসেনকে বোকা বানান মেসি। করেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল। এবারের লিগে এটি তার ২৮তম।৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ার পরও হাল ছাড়েনি ভালেনসিয়া। নিজ মাঠে শেষ ২০ মিনিট তারা চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরান। ৮৩ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন সোলার।তবে, এরপর আর গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মেস্তায়া ছাড়ে বার্সা।এই জয়ে শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের ওপর চাপ বজায় রাখল রোনাল্ড কুমানের শিষ্যরা। ৩৪ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর। দুই ও তিনে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার পয়েন্ট সমান, ৭৪।