ম্যাচের একাদশ ঘোষণা হয়ে গেছে তখন। ম্যাচ গড়ানোর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ড দখলে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকরা। দুই শতাধিক রেড ডেভিল সমর্থকের প্রতিবাদের মুখে নির্ধারিত সময়ে মাঠে গড়ায়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুল ম্যাচ।
শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে হয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।
মূলত ক্লাব মালিকানা নিয়ে ক্লাবের স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রতিবাদ করতে থাকেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল-ভক্তরা। ২০০৫ সাল থেকে আমেরিকান গ্লেজার পরিবারের হাতে থাকা মালিকানার বিপক্ষে এই বিক্ষোভ। কয়েক সপ্তাহ ধরে সমর্থকরা সমালোচনা করছেন এই মালিকানার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সুপার লিগে ক্লাবের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রোষানলে পড়তে হয় ক্লাব ম্যানেজমেন্টকে। প্রতিবাদের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সুপার লিগ থেকে সরে আসতে হয় ইউনাইটেডকে। নাম সরালেও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন রেড ডেভিলস ভক্তরা।
রোববার প্রতিবাদ হয়ে ওঠে আরও উত্তাল। ম্যাচের আগে লরি হোটেল ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন ভক্তরা। হোটেলে ক্লাবের খেলোয়াড়রা অবস্থান করেন ম্যাচের আগে। তারপর সেই প্রতিবাদ গিয়ে পৌঁছায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে। স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এই অবস্থায় দুই রেডের ম্যাচটা স্থগিত করতে হয়। আবারও আলোচনার মাধ্যমে ম্যাচের শিডিউল নির্ধারণ করা হবে বলে জানায় লিগ কমিটি। স্থগিতের ঘোষণায় তাই ঝুলে রইল ম্যানচেস্টার সিটির চ্যাম্পিয়ন ঘোষণাও। এ ম্যাচে লিভারপুল জিতে গেলে চার ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ ঘরে তুলত পেপ গার্দিওলার বাহিনী।