বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সর্বোচ্চ পেশাদার লিগের অপেশাদার আচরণ

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ২২:২৪

তিন ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মুক্তিযোদ্ধা এসকেসির লিগ পেছানোর দাবি আমলে না নেয়া, সময়মতো ফিক্সচার না দেয়া, ফিক্সচারে এএফসি কাপ নিয়ে জটিলতাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরীক্ষা করা হলেও তার বিবরণী সংবাদ মাধ্যমকে সরবরাহ না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

৩০ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব। ৫৩ দিন পর লিগ মাঠে গড়ালেও দেশের সর্বোচ্চ লিগের আয়োজন নিয়ে অপেশাদার আচরণে আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটিকে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে একটি ক্লাবকে।

লিগ শুরুর আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় অপেশাদারিত্বের আচরণ করায় আবারও সমালোচনার কাঠগড়ায় লিগ কমিটি।

তিন ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মুক্তিযোদ্ধা এসকেসির লিগ পেছানোর দাবি আমলে না নেয়া, সময়মতো ফিক্সচার না দেয়া, ফিক্সচারে এএফসি কাপ নিয়ে জটিলতাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরীক্ষা করা হলেও তার বিবরণী সংবাদ মাধ্যমকে সরবরাহ না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

গত ২৪ এপ্রিল লিখিতভাবে বাফুফেকে চিঠি দিয়ে ৩০ এপ্রিল খেলতে পারবে না বলে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও আরামবাগ অনুশীলন শুরু করলেও মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তাদের মাঠে নামার প্রস্তুতির অভাব থাকছে। এখন পর্যন্ত অনুশীলন শুরু করতে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

বুধবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের এই আবেদন বিবেচনায় রেখে অন্তত কিছুদিন হলেও তাদের ম্যাচ পরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারপারসন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেনি ফিক্সচারে।

কোনো সময় না দিয়ে প্রথম দিনেই রাখা হয়েছে ব্রাদার্সের ম্যাচ। এ নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান।

‘লিগ কমিটির চেয়ারম্যান গতকাল নিজে বলেছেন ব্রাদার্সের দাবি পুরোপুরি মানা সম্ভব না। তাদের খেলা কিছু দিন পর দেয়া হবে। চেয়ারম্যানের কথার প্রতিফলন নেই ফিকশ্চারে।’

এখনো ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি ব্রাদার্স। লকডাউনের কারণে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খেলোয়াড়রা যে যার বাসায় অবস্থান করছেন। আগামীকাল ম্যাচে অংশ নিতে না পারলে লিগ থেকে অবনমিত হবে গোপীবাগের দলটি।

ব্রাদার্স ইউনিয়নের আবেদন প্রতিশ্রুতির পরেও আমলে নেয়া হয়নি। ছবি: বাফুফে

এই অবস্থায় কী হবে দলের ভবিষ্যত তা নিয়ে বেগতিক অবস্থা ক্লাবের। আমের বলেন, ‘ক্লাবের অন্য পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। লকডাউনের পর এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়নি পাশাপাশি ব্রাদার্সের যৌক্তিক অনুরোধও রাখল না ফেডারেশন।’

এদিকে ২৮ এপ্রিল লিগের ফিক্সচার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাফুফে। সেই ডেডলাইন পেরিয়ে গেছে একদিন। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ফিক্সচার প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে এএফসি কাপে ৫, ৬ ও ৭ মে ঢাকায় এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করে বাফুফে-আবাহনী এএফসিকে চিঠি পাঠায়। কিন্তু ফিক্সচারে তা আমলে নেয়া হয়নি। ৩০ এপ্রিল, ৪ ও ৭ মে ম্যাচ রাখা হয়েছে আবাহনীর। সাত মে পর্যন্ত তিন করে ম্যাচ রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

ভেন্যু আর শিডিউল নিয়ে তাই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে আগামীকাল তিন ম্যাচে ছয়টি দল অংশ নিচ্ছে। অন্তত তিন দিন আগে কোভিড পরীক্ষা করে তার ফলাফল জানিয়ে দেয়ার বিষয়ও উপেক্ষা করা হচ্ছে এবার। পরীক্ষা করালেও ফল এখনও ঘোষণা হয়নি।

সবমিলে দেশের সর্বোচ্চ ঘরোয়া পেশাদার ফুটবল লিগে এমন অপেশাদার আচরণ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর