ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির ঘরের মাঠে তাদেরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
সিটির হয়ে গোল দুটি করেন কেভিন ডি ব্রুইনা ও রিয়াদ মাহরেজ। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মার্কুইনহোস।
ম্যাচের শুরুটা দারুণভাবে করেছিল স্বাগতিকরা। শুরু থেকেই তারা চেপে ধরেছিল ম্যান সিটিকে, আর তারই ফল হিসেবে ১৫ মিনিটে গোল পেয়ে যায় তারা। অ্যানহেল ডি মারিয়ার কর্নার থেকে দারুণ এক হেডারে পিএসজিকে এগিয়ে নেন মার্কুইনহোস।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময়েই আধিপত্য বিস্তার করেছিল পিএসজি। আরও দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও তাতে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় এক গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে তারা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পুরো উল্টে যায় ম্যাচ। এক গোলের লিড বাঁচাতে পিএসজি রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে আর সেই সুযোগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিটিজেনরা।
৬৪ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনা ক্রস করলেও সেটির নাগাল পাননি সিটির কোনো খেলোয়াড়, তাতেই যেন ভড়কে গেলেন পিএসজি গোলকিপার কেইলর নাভাস। যতক্ষণে বল ধরার চেষ্টা করেছেন এই কোস্টারিকান গোলকিপার, ততক্ষণে বল জড়িয়েছে জালে, ম্যাচে ফিরেছে সিটি।
মাত্র সাত মিনিট পরেই এগিয়ে যায় সিটি। বক্সের বাইরে থেকে মাহরেজের ফ্রি-কিক গোলের সামনে দাঁড় করানো পিএসজির দেয়ালের মধ্য দিয়ে গিয়ে পরাস্ত করে নাভাসকে, তাতে দ্বিতীয় অ্যাওয়ে গোল পেয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি।
মিনিট ছয়েক পরে বিপদ আরও বাড়ে পিএসজির, যখন সিটির মিডফিল্ডার ইল্কেই গুন্দোগানকে ভয়ংকর এক ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখেন ইদ্রিসা গানা গে।
ম্যাচের শেষ ভাগ ১০ জন নিয়ে খেলেও অবশ্য গোল খায়নি পিএসজি, তবে তাতে কৃতিত্ব নাভাসের। দারুণ ড্রিবলিং করে গোলের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ফিল ফোডেন, কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ঘরের মাঠে হারায় ফাইনালে ওঠাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএসজির জন্য। ম্যান সিটির মাঠে তাদের জিততে হবে দুই গোলের ব্যবধানে।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে ড্র করলেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছে যাবে ম্যান সিটি।
দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় লেগ হবে আগামী মঙ্গলবার।