বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্ব মাঠে গড়াচ্ছে ৩০ এপ্রিল। চার ভেন্যুতে লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি। তবে, লকডাউনে বিধিনিষেধ চলা পর্যন্ত এক ভেন্যুতেই চলবে লিগের খেলা। বিধিনিষেধ শিথিল হলে চার ভেন্যুতে ফিরে যাবে বিপিএল আসর।
সংবাদ সম্মেলন করে বুধবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
‘৩০ তারিখ থেকে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের খেলা মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। প্রথম পর্বে চারটি ভেন্যুতে খেলিয়েছি। দ্বিতীয়পর্বেও চারটি ভেন্যুতে খেলব। সরকার যেহেতু লকডাউনের বিধিনিষেধ রেখেছে, ইন্টার সিটি যোগাযোগ ব্যবস্থার বিধিনিষেধ বিবেচনায় রেখে শুরুটা আমরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রাখছি।’
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধিকে প্রাধান্য দিয়ে মাঠে ম্যাচ নামানোর সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান মুর্শেদী।
‘স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে লিগ চলবে। ম্যাচের তিন দিন আগে কভিড টেস্ট করিয়ে খেলোয়াড়দের নামতে হবে।’
সন্ধ্যার আগেই দ্বিতীয় পর্বের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করার কথা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। প্রতিদিন অন্তত দুটি করে ম্যাচ রাখা হচ্ছে। দুয়ের অধিকও হতে পারে।এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচকে বিবেচনায় রেখে সূচি করা হয়েছে বলে জানান বাফুফের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি।
বহির্বিশ্বের মতো সকল স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে লিগ মাঠে নামানোই মূল কথা বলে উল্লেখ করেন সালাম মুর্শেদী।
‘যেহেতু ২০১৯-২০ লিগ বাতিল হয়েছে সেজন্য ২০২০-২০২১ লিগটা বাতিল হোক কোনোভাবেই চাইব না। লিগ না হলে খেলোয়াড়রা টাকা পাবেন না। আর ক্লাবদের জন্যও দরকার যারা সম্মানের জন্য অংশ নিয়ে থাকে। জাতীয় দল গড়ার জন্যও লিগ মাঠা থাকা দরকার। যে ক্যালেন্ডার দিয়েছি সেটা নিশ্চিত করার জন্য লিগটা মাঠে নামানো প্রয়োজন।’
এদিকে ক্লাবগুলো এখনও লিগে অংশগ্রহণের অর্থ পায়নি। লিগ শুরুর আগেই ক্লাবের হাতে চেক পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেডারেশন।
মুর্শেদী বলেন, ‘লিগ শুরুর আগে তাদের হাতে যাতে চেক পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা থাকবে। পৃষ্ঠপোষক আমাদের যারা আছেন তারা যাতে থাকে সেই চেষ্টা থাকবে। আর ক্লাবের যে চাহিদা আছে সেটা পূরণ করার চেষ্টা থাকবে।’
একাধিক ক্লাব নির্দিষ্ট সময়ের থেকে সপ্তাহখানেক সময় চেয়েছে ফেডারেশনের কাছ থেকে। সেই বিষয়টি সূচিতে বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে লিগ কমিটি।