ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এই বছর এর সাবেক তারকা ও কিংবদন্তিদের বিশেষ সম্মান জানাতে এই বছর থেকে শুরু করেছে ‘হল অফ ফেইম’। হল অফ ফেমে জায়গা করে নেবেন তারাই যারা ১৯৯২ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গোড়াপত্তনের পর থেকে খেলেছেন ও ২০২০ সালের ১ আগস্ট এর আগে অবসরে গেছেন।প্রথম বছর এতে জায়গা করে নিয়েছেন অ্যালান শিয়েরার ও থিয়েরি অঁরি।দুই সাবেক স্ট্রাইকার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে গোলের রেকর্ড গড়েন। শিয়েরার নিউকাসল ইউনাইটেদ ও অঁরি আর্সেনালের ক্লাব আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।১৯৮৮ সালে ১৮ বছর বয়সে সাউদ্যাম্পটনের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন শিয়েরার। ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের হয়ে ১৯৯৫ সালে জেতেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। ১৯৯৬ সালে যোগ দেন নিউকাসলে। প্রিমিয়ার লিগে ১৪ মৌসুম খেলে রেকর্ড ২৬০ গোল করেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। তিনবার জিতেছেন মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন্ট বুট’।শিয়েরার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র ফুটবলার যিনি দুই ক্লাবের হয়ে এক শর বেশি গোল করেছেন। ১৯৯২ থেকে ৯৫ পর্যন্ত রোভার্স ও ৯৬ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নিউকাসলের হয়ে খেলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন শিয়েরার। নিউকাসলের জার্সি গায়ে ১৪৮ গোল তাকে ক্লাবের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়ে পরিণত করে।হল অফ ফেইমের অংশ হতে পেরে গর্বিত বোধ করছেন এমনটা উল্লেখ করে শিয়েরার বলেন, ‘সপ্তাহের পর সপ্তাহ, বছরের বছরের পর যে সব গ্রেট খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন তাদের দেখার পর হল অফ ফেইমে জায়গা পেয়ে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমার সকল সতীর্থ ও ম্যানেজার যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’শিয়েরারে হল অফ ফেইমের সঙ্গী থিয়েরি অঁরি ১৯৯৯ সালে ইতালির ইউভেন্তাস থেকে যোগ দেন আর্সেনালে। তৎকালীণ আর্সেনাল ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার তাকে একজন উইঙ্গার থেকে খাঁটি গোলস্কোরারে পরিণত করেন।
এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড আর্সেনালের জার্সিতে ২৫৮ ম্যাচে ১৭৫ গোল করেন। জেতেন রেকর্ড চারটি গোল্ডেন বুট।সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্সেনালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড অঁরির। ইয়ান রাইটের ১৮৫ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে গানারদের হয়ে ২২৮ গোল করেন অঁরি। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত টানা পাঁচ মৌসুমে ২০ বা তার বেশি গোল করেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।হল অফ ফেইমে শিয়েরারের পাশে জায়গা পেয়ে আনন্দিত অঁরি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘হল অফ ফেইমের প্রথম দুইজন সদস্য হতে পেরে আর অ্যাালান শিয়েরারের পাশে জায়গা করে করে নিতে পারাটা আসলেই বিশেষ কিছু।’