২৮ এপ্রিল দেশের লকডাউন শিথিল হলে ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্রথম ম্যাচটি ঢাকায় খেলতে চায় ঢাকা আবাহনী। ইতোমধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিকল্পসহ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনসকে (এএফসি) চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট।
এর আগে আবাহনীকে এএফসি দায়িত্ব দিয়েছিল মালদ্বীপের ঈগলস এফসি ও ভারতের বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবনা দিতে। গত বৃহস্পতিবার দুই দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভার্চুয়াল সভা করে আবাহনী। সভায় ভারতের দলটির কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও মালদ্বীপের কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো লিপিবদ্ধ করে চিঠির আকারে এএফসিকে শুক্রবার পাঠিয়েছে আবাহনী।
চিঠির মূল কথা, দেশের লকডাউন তুলে শিথিল হলে ঢাকায় মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস এফসির বিপক্ষে খেলতে চায় আবাহনী। যদি তা না হয় তাহলে ভারতে গিয়ে খেলতে রাজী আছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে অতীত বিবেচনায় রেখে ভিসা জটিলতা যাতে নাহয় সেজন্য ভারতকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। আর নাহয় মালদ্বীপেই প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচগুলো খেলতে রাজী আকাশী-হলুদরা।
ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু পুরো বিষয়টি নিউজবাংলাকে ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপকে নিয়ে সভাটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউ আসেনি। সভায় বেশ কয়েকটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এখানে লকডাউন যদি ২৮ এপ্রিল উঠে যায় ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয় তবে আমাদের ম্যাচটা ঢাকাতেই ২ মে আমরা আয়োজন করতে চাইছি।
‘সেক্ষেত্রে মালদ্বীপের দলকে আমাদের এখানে এসে খেলতে হবে। এটা যদি সম্ভব না হয় তবে ভারতের গোয়ায় গিয়ে আমাদের ম্যাচ খেলতে আপত্তি নেই যদি তারা (বেঙ্গালুরু এফসি) আমাদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা দেয়।’
এই দুটির একটিও না হলে তৃতীয় বিকল্পে যেতে চায় আবাহনী। রুপু বলেন, ‘এএফসি চাইলে দুটি ম্যাচই গ্রুপ পর্বের আগে মালেতে আয়োজন করতে পারে। আমরা এই বিকল্পগুলো উল্লেখ করে এএফসিকে চিঠি দিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা।’
এদিকে মালদ্বীপের ঈগলস এফসি চায় না আবাহনী ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব নিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন শর্তে বাফুফের এক কর্মকর্তা জানান,
‘মালদ্বীপের ক্লাবটি আসলে চাইছে আবাহনীর ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব না নিতে। এতে আবাহনী ঝামেলায় পড়বে। তখন তারা আবাহনীর বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়ে প্লে-অফে উঠে যাবে।’
এখন এএফসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে আবাহনী।