বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপার লিগ নিয়ে ভুল স্বীকার জেপি মরগ্যানের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৩৬

সমর্থকদের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে সুপার লিগের মাঠে গড়ানো ভেস্তে যাবার পর সংস্থাটি স্বীকার করেছে বিদ্রোহী লিগটিতে তাদের অর্থ যোগান দেয়ার পরিকল্পনা ভুল ছিল।

যে সুপার লিগের পরিকল্পনায় গেল সপ্তাহে ঝড় গেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের তাদের মূল তহবিল যোগান দাতা ছিল অ্যামেরিকান আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান। সমর্থকদের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে সুপার লিগের মাঠে গড়ানো ভেস্তে যাবার পর সংস্থাটি স্বীকার করেছে বিদ্রোহী লিগটিতে তাদের অর্থ যোগান দেয়ার পরিকল্পনা ভুল ছিল।ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) এর জন্য জেপি মরগ্যানের তিন বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেয়ার কথা ছিল। যার ব্যাপ্তি হতো ২৩ বছর। তবে শুক্রবার বিকেলে এই বিবৃতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানায় সুপার লিগ নিয়ে তাদের যে ভুল ধারণা ছিল সেটি ভেঙ্গেছে।‘আমাদের সঙ্গে সুপার লিগের চুক্তিটাকে ফুটবল বিশ্ব কীভাবে নেবে ও এর ভবিষ্যত প্রভাব এর উপর কী হতে পারে সেটা সম্পর্কে আমরা ভুল ধারণা করেছিলাম। আমরা এই (ভুল) থেকে শিখতে চাই।’গত সপ্তাহের রোববার ১২টি ক্লাব একজোট হয়ে বিদ্রোহী লিগের যে স্বপ্ন দেখে তা বুধবারের মধ্যেই ভেঙে যায়। একে একে ক্লাবগুল সরে দাঁড়ানোয় সুপার লিগে এখন শুধুমাত্র টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ,বার্সেলোনা ও ইউভেন্তাস।এর মধ্যে বুধবার ইউভেন্তাস সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেলি জানান তিনি আর এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত দেখছেন না। সুপার লিগ কর্তৃপক্ষও মেনে নিয়েছে আপাতত তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আসর আয়োজন করা সম্ভব নয়।সরে আসা ক্লাবগুলো এরই মধ্যে সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে সুপার লিগে নাম লেখানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছে।ইএসএল ও রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস সুপার লিগের ভেঙ্গে পড়ার জন্য ইংলিশ ক্লাবগুলোকে দোষ দিয়েছেন। তার মতে, ইংলিশ ক্লাবগুলো সরে দাঁড়ানোতেই দীর্ঘদিনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।অন্যদিকে,আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও সুপার লিগ না ত্যাগ করা বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার মতে সুপার লিগ আয়োজন করলে ঘরোয়া লিগের কোনো ক্ষতি হতো না।‘আমরা ঘরোয়া লিগগুলোকে সমর্থন করি ও এনিয়ে সবসময়ই ইউয়েফার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।সবাই ফুটবলের ভালোর জন্য কাজ করতে চায়। সেজন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমাদের কাছে ছিল।’বার্সেলোনা সুপার লিগে কার্যত থেকেও নেই। কারণ স্থায়ী ক্লাব সদস্যদের ভোট ছাড়া সুপার লিগে অংশগ্রহণই করতে পারবে না। সুপার লিগের শুরু থেকেই এর তীব্র সমালোচনা করে এসেছে কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়, সমর্থক ও সদস্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর