শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের জন্য জিমনেসিয়াম নির্মাণ করলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চতুর্থবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বহুল কাঙ্ক্ষিত জিমটি এখন বাফুফে ভবনের সামনে দৃশ্যমান।
নির্বাচনে প্রতিবার জিমনেসিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়ে ওঠেনি। ১২ বছরে না হলেও এবার কথা রেখেছেন সভাপতি। মার্চের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জিমনেসিয়াম।
বাফুফে জানায়, জিমনেসিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ। যন্ত্রপাতির সকল সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্তত ৩০ জন ফুটবলার একসঙ্গে জিম করতে পারবেন।
অগ্রাধিকার পাবে জাতীয় ফুটবলাররা। লকডাউন শেষ হলে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হবে জিমনেসিয়াম।
জাতীয় ফুটবলারদের ছাড়া বাকী ফুটবলারদের কীভাবে জিমের সুবিধা দেয়া যায় সেজন্য একটি নীতিমালা করবে ফেডারেশন।
উদ্বোধনের বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। নির্মাণ কাজ শেষ। মন্ত্রী, মেয়র ক্লাব কর্মকর্তাসহ সাবেক-বর্তমান ফুটবলার নিয়ে জিমনেসিয়াম উদ্বোধনের চিন্তা আছে। লকডাউন শেষ হলেই উদ্বোধন করব।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি দলের জিমনেসিয়ামের আদলে নির্মাণ করতে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। পুরো টাকাই দিয়েছে তমা গ্রুপ। তাই জিমনেসিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফুফে-তমা এলিট ট্রেনিং সেন্টার।’
এই উদ্যোগ সফল হওয়ার পেছনে ছিলেন তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূঁইয়া (মানিক)। তিনি বাফুফের সহ-সভাপতিও।
ফেডারেশনের চাহিদামতো নির্মাণ কাজ করেছে তমা গ্রুপ। আর জিমের যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে বাফুফে কোটেশনের মাধ্যমে।