সাজানো সংসার ছিল তখন। প্রায় আড়াই বছর আগে একমাত্র ছেলে ও সহধর্মিনী ঝুমা খাতুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে ফিরছিলেন ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। এক দুর্ঘটনায় নিমিষেই চোখের সামনে দুই প্রিয়জনকে হারাতে দেখেছেন এই ফুটবলার। এই ঘটনা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে।
হারানো এই প্রিয়জনদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অনভূতির কথাগুলো জানান সোহেল।
ছেলে আর স্ত্রীর মৃত্যু কখনই মেনে নেয়া সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আজ বিশ্বব্যাপী যে মহামারীর ভয়াবহতা চলছে, হয়তো তা একদিন থেমে যাবে। এর মধ্যেই কেউ হারাবে প্রিয়জন, আবার কেউবা হারাবে স্বজন। সত্যিকার অর্থে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারি কিন্তু কিছু অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা কখনই মেনে নিতে পারি না।
‘হয়তো কিছু দিন পর পৃথিবীটা আবার আগের মতই শান্ত হবে কিন্তু এই প্রিয়জন হারানোর কষ্টটা তাদের বয়ে বেড়াতেই হবে।’
২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর বাইক দুর্ঘটনায় দুই প্রিয়জনকে হারান সোহেল। এরপর নিজেকে সামলে আবারও ফুটবলে ফিরেছেন। সেসময় শেখ রাসেল থেকে ঢাকা আবাহনীতে নাম লেখান। আসন্ন এএফসি কাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের সঙ্গে। আছেন ক্লাবের আবাসিক ক্যাম্পে।
দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি সবার সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
লেখেন, ‘দোয়া করি দ্রুতই পৃথিবী শান্ত হোক এবং ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ। সবাই সুস্থভাবে জীবনযাপন করুন এই কামনাই করি।’আর কবরে চিরজীবনের জন্য শুয়ে থাকা দুই প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আমিও ভাল আছি এবং তুমিও ভাল থেকো প্রিয়।’